
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের ঘোষিত আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবির দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, এবং নয়টি শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মহাপরিচালক বলেন, “বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক নেতারা তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেছেন, আমরা সেগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। আশাবাদী, তারা ঘোষিত অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।”
সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল জানান, “সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে আন্তরিকতা দেখিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আমরা পুনরায় কর্মসূচি দেব।”
বৈঠকে তিনটি মূল দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়—
সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ,
১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সুযোগ সহজ করা,
৩২ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি।
মহাপরিচালক জানান, প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ায় সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রাপ্য। এ প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে, এবং শিগগিরই পে কমিশনের চেয়ারম্যান ও অর্থসচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে।
এ ছাড়া, উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির সুযোগ সহজ করতে প্রাথমিক শিক্ষা বিধিমালায় সংশোধন আনা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ৩২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের পদোন্নতি-সংক্রান্ত মামলার রায় শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মহাপরিচালক।
সূত্র- বাসস।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর