
৭৩ বছর বয়সী এক নারীর পেটে পাওয়া গিয়েছিল ৩০ বছরের পুরনো একটি ‘স্টোন বেবি’, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে লিথোপেডিয়ন নামেও পরিচিত। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মৃত ভ্রূণকে শরীর ‘বহিরাগত বস্তু’ হিসেবে চিহ্নিত করে, তার চারপাশে ক্যালসিয়াম জমিয়ে ধীরে ধীরে পাথরের মতো কঠিন করে ফেলে।
সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ধরা পড়ে বিরল ঘটনা
এই ঘটনা সামনে আসে ওই নারীর সিটি স্ক্যান-এর মাধ্যমে। হেলথ এক্সপার্টদের মতে, এটি অত্যন্ত বিরল এবং অদ্ভুত একটি মেডিকেল কন্ডিশন।
লিথোপেডিয়ন বা স্টোন বেবি ঘটে তখন, যখন মৃত ভ্রূণ গর্ভাশয়ের পরিবর্তে পেটে বৃদ্ধি পায়। যথাযথ রক্ত সঞ্চালন না থাকার কারণে ভ্রূণ মারা যায়, আর শরীর সেটিকে বের করতে না পেরে প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়া সক্রিয় করে। ফলে ভ্রূণের চারপাশে ক্যালসিয়ামের স্তর জমে সেটি ধীরে ধীরে পাথরে পরিণত হয়।
‘Non Aesthetic Things’ নামে একটি এক্স (আগে টুইটার) অ্যাকাউন্ট এই সিটি স্ক্যানের ছবি শেয়ার করে লিখেছে, ‘এই স্ক্যানটি ৭৩ বছরের এক নারীর, যার দেহে ৩০ বছরের পুরনো ক্যালসিফায়েড ভ্রূণ পাওয়া গেছে।’
এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়, এবং অনেকেই এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
ইতিহাসে আরও কিছু লিথোপেডিয়ন কেস
২০১৩ সালে এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, কলম্বিয়ার ৮২ বছর বয়সী এক নারীর পেটে ৪০ বছর ধরে থাকা একটি স্টোন বেবি ধরা পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কেস মেডিকেল সেন্টার-এর গাইনোকলজিস্ট ড. কিম গার্সি জানান, “এই অবস্থা এতটাই বিরল যে, চিকিৎসা সাহিত্যে মাত্র প্রায় ৩০০টি কেসই রেকর্ড করা হয়েছে।”
ডাক্তারা বলেন, স্টোন বেবি সাধারণত তখন ধরা পড়ে, যখন কোনো নারীর পেটের ব্যথা বা অস্বস্তির কারণে এক্স-রে, সিটি স্ক্যান বা আলট্রাসাউন্ড করান। বেশিরভাগ সময় এটি অনেক বছর পরে, বৃদ্ধ বয়সে হঠাৎ অসুস্থতার সূত্র ধরে জানা যায়।
দ্রষ্টব্য: এই খবর শুধুমাত্র তথ্যবহুল উদ্দেশ্যে প্রকাশিত। ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ভিন্ন স্বাদের খবর এর সর্বশেষ খবর