
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের কর্মকর্তারা। পুলিশের দাবি, মৃত্যুর মুহূর্তে জোবায়েদ জীবিত অবস্থায় বর্ষাকে দেখে সাহায্য চাইলে, বর্ষা বলেন—“তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না।” এরপরই তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।
তিনি বলেন, “মেয়েটা অনেক চালু, দুদিকেই সম্পর্ক বজায় রাখতো। এটি এক ধরনের ত্রিভুজ প্রেম—প্রায় মিন্নির ঘটনার মতো।”
এর আগে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝখানে বর্ষা জোবায়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মাহীরকে দূরে সরিয়ে দেয়। পরে আবার মত পাল্টে মাহীরকে জানায়, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখনই দুজন মিলে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ওসি বলেন, “প্রথমে বর্ষা হত্যার কথা স্বীকার করেনি। কিন্তু মাহীরকে মুখোমুখি করলে সব স্বীকার করে।”
জানা গেছে, জোবায়েদ ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, একই সঙ্গে কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য।
গত এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাসায় বর্ষাকে পড়াতেন। গত রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে সিঁড়িতে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন তিনি।
ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভ করে এবং তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ বর্ষাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর