
রাশিয়ার প্রধান দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি রসনেফট (Rosneft) ও লুকঅয়েল (Lukoil)-এর ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২২ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন।
রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (OFAC) এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এতে কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন, নতুন চুক্তি ও জ্বালানি রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন বলেছে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অর্থায়নে এই তেল কোম্পানিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “রাশিয়ার তেল খাত তাদের যুদ্ধযন্ত্রের জ্বালানি সরবরাহ করছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বল করবে।”
অন্যদিকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া পরমাণু সক্ষমতা প্রদর্শনমূলক মহড়া চালিয়েছে। রয়টার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত ছিল সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, ভূমি থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং আকাশপথে পারমাণবিক ওয়ারহেড পরিবহন সক্ষমতা যাচাই।
মস্কো দাবি করেছে, এটি ছিল “নিয়মিত প্রতিরক্ষা অনুশীলন”, তবে পশ্চিমা কূটনীতিকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ২০২৫ সালে এটিই প্রথমবার, যখন ওয়াশিংটন রাশিয়ার এত বড় তেল কোম্পানিকে সরাসরি নিশানা করল। আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে এর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে—তেলের দাম ২ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।
এদিকে, ভারতের কয়েকটি শোধনাগার (রিফাইনারি) ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান তেল চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, এপি নিউজ।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর