বরগুনার আমতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোঃ রোকনুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মনগড়া তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগ উঠেছে একটি কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের বক্তব্য আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে মূলত তিনি আমতলীতে কখনো আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে কখনো দেখা বা সাক্ষাৎ করেনি।

কুচক্র মহলটি আমতলী উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করার পূর্বের কিছু ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইন মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আমতলীতে যোগদানের এক সপ্তাহ আগে ৬ এপ্রিল তার মাকে ঢাকা পাঠানোর পথে আমতলী নতুন বাজার চৌরাস্তা কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার অনুরোধে একটি হোটেলে চায়ের নিমন্ত্রণে প্রবেশ করেন। তাকে দেখে হোটেলে আগে থেকে বসা একজন স্হানীয় সামাজিক ব্যক্তি কুশল বিনিময় করতে আসলে তারা একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেই ছবি নিয়ে কয়েক মাস পর স্বার্থান্বেষী মহল ভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশ করছে। এছাড়াও ঝালকাঠিতে কর্মরত এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে পারিবারিক একটি ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পায়তারা করছে চক্রটি। ছবিটি মূলত কলাপাড়ার আমতলী ও বরগুনার খাদ্য কর্মকর্তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবি।

জানাগেছে, চলতি বছরের ১৩ মে মোঃ রোকনুজ্জামান খান আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করেন। যোগদান করার পর আমতলীর সাধারণ মানুষের কাছে একজন মানবিক সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। স্বচ্ছ ও দক্ষতার সহিত আমতলী উপজেলা পরিষদ এবং পৌর প্রশাসক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাধারণ ও অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছে একজন জনগণের কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেন। আমতলী উপজেলার বিভিন্ন চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলো সঠিক ভাবে তদারকি করার ফলে অবৈধ সুযোগ না নিতে পারায় কুচক্রি মহলটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারে বিরুদ্ধে মিথ্যা অসত্য তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশ করছেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। আমতলী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমরান খান এবিষয়ে বলেন, আমতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একজন সৎ ও মানবিক কর্মকর্তা। তিনি দলমত উর্ধ্বে একজন জনতার সেবক, বাংলাদেশের পক্ষের একজন। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ আহমেদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন ভালো মনের মানুষ। আওয়ামী লীগের সকল লোকজন খারাপ নয়। তাদের মধ্যে কেউ যদি তার সঙ্গে হোটেলে খানাপিনা করে সেটি দোষের নয়। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ দুঃখজনক।

এবিষয়ে আমতলী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ জালাল আহম্মেদ খান বলেন, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন সাদামনের মানুষ। তাকে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে যে নিউজ করা হয়েছ, এই নিউজের কোন ভিত্তি নেই। আমরা কখনো তাকে আমতলী আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা করতে দেখি নাই।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমি আমতলীতে যোগদান করার পরে কোন আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে বৈঠক করার প্রশ্নই আসে না। আমি এ পর্যন্ত তাদের কাউকে চিনি না।

কুশল/সাএ