ইলিশ পঁচা গন্ধে বাতাস ভারী হয়েছে সামরাজ মৎসঘাটে। চিরচেনা এ মৎস্যঘাটে এমন ঘটনা হরহামেশাই না ঘটলেও ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার ছয় ঘন্টা পরেই ঘটেছে। এ মৎস্যঘাটের অবস্থান ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। ছয় ঘন্টার ব্যবধানে ইলিশ বোঝাই সাগরগামী শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার মৎস্যঘাটে ফিরেছে। শত শত টন পচাঁ ইলিশের ভাগাড় দেখে সাধারণ ক্রেতারা অবাক হলেও আড়তদার ও পাইকাররা ছিলো আনন্দমুখর। সূর্যের আলো উঁকি দেওয়ার সাথেই এসব সাগরগামী ট্রলার মৎস্যঘাটে এসে নোঙর করেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ ২২ দিন গভীর সাগরে অবস্থান করে এসব ইলিশ মাছ শিকার করেছেন জেলেরা। যদিও এসব তথ্য অকপটে শিকার করেছেন সাগর থেকে ফেরা একাধিক জেলে।
সরেজমিনে রোববার সামরাজ মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোর হতেই একে একে মৎস্যঘাটে ফিরেছে ইলিশ মাছ বোঝাই শতাধিক সাগরগামী ট্রলার। ওইসময় এফবি বিসমিল্লাহ, এফবি আয়েশা-১, এফবি হামিম-২ থেকে জেলেরা ঝুড়িভর্তি ইলিশ মাছ বিক্রির জন্য আড়তগুলোতে নিতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আড়ৎগুলোতেও মাছ বিক্রি শুরু হয়। কেউবা ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে ইলিশ সরবরাহ করতে গাড়ীতে তুলছে।
ট্রলার বোঝাই ইলিশ কোথায় থেকে এলো এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাগর থেকে ফেরা এক জেলে জানান, ৪ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে তার আগের দিনগত রাতে বরফ, তেল ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ইলিশ শিকারের জন্য গভীর সাগরে গিয়েছেন। তারা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে ইলিশ শিকার করেছেন। দীর্ঘদিন ইলিশ মাছ বরফজাত করে রাখায় দুই তৃতীয়াংশ মাছ পচেঁ গেছে। এই জন্যই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এফবি বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি নুরমোহাম্মদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। তবে একতা ফিসের আড়তদার অহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আপনারাতো জানেনই এসব মাছ সাগরের। ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, এমন তথ্য আমার জানা নেই।
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষের ছয় ঘন্টার মধ্যে সাগরগামী ট্রলার ইলিশ বোঝাই করে মৎস্যঘাটে ফিরে আসা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, 'আপনার কথায় যুক্তি আছে। আমার অফিসারের সাথে কথা বলে জানাবো। এ বলেই তিনি কল কেটে দেন।'
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর