বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা' এবং বগুড়া-১ আসনের বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসানের ৭ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা সভা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন এবং পরিবর্তনের পক্ষে তাদের জোরালো সমর্থন জানান। শনিবার বিকেলে সোনাতলা উপজেলার চরপাড়ায় এক বিশাল উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে সভাটি মুহূর্তেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসান তাঁর বক্তব্যে তারেক রহমানের ৩১ দফার তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই ৩১ দফা হলো একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিপূর্ণ রূপরেখা। এরপর তিনি এলাকাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে তাঁর নিজস্ব 'কর্নেলের ৭ দফা' বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি এক ক্রান্তিলগ্নে। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন, তা শুধু একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা নয়; এটি হলো একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিপূর্ণ রূপরেখা। এই ৩১ দফাকে স্থানীয় পর্যায়ে সফল করতে এবং এলাকার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমি আমার ৭ দফা আপনাদের সামনে রাখছি।
এই ৭ দফা হবে আমাদের এলাকার উন্নয়নের মূল ভিত্তি। এছাড়াও কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসান সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উঠান বৈঠক ও সমাবেশে অংশ নেন। সেখানেও তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে স্থানীয় জনগণের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শোনেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রসঙ্গে: আমরা আর আপোষ নয়, এবার চাই ভোটের অধিকার, চাই জনগণের সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার হবে, কোনো দলীয় সরকার নয়। যখন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে, তখন আমাদের এলাকার উন্নয়নে আর কোনো বাধা থাকবে না। তরুণ প্রজন্ম ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজ আজ বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। তারেক রহমানের ৩১ দফায় তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে, আমার ৭ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে এই এলাকার প্রতিটি যুবক যেন কাজ পায়, সেই নিশ্চয়তা দেব।
অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন সম্পর্কে বগুড়া-১ আসনের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো আমার নখদর্পণে। যমুনা নদীর ভাঙন থেকে শুরু করে ফসলের ন্যায্য মূল্য—প্রতিটি সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব বলে মনে রাখবেন, কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসান। তিনি সকলকের পাশে আছে, সবসময় থাকবে! উপস্থিত জনতা হাত তুলে এবং স্লোগানের মাধ্যমে কর্নেল জগলুল আহসানের বক্তব্যকে স্বাগত জানান। স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত থেকে তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করেন। এই সভা ও উঠান বৈঠকগুলো তারেক রহমানের ৩১ দফা এবং কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসানের ৭ দফা কর্মসূচির বার্তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর