নবীগঞ্জ উপজেলার কুড়িশাইল গ্রামে সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পে পিতার বটি দায়েরর কুপে মেয়ে পুর্ণিমা রানী দাস (২৫) নামের দুই সন্তানের জননী খুন হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরের দিকে নিজ বসত ঘরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক পিতা মতিলাল দাস (৬২)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পুর্ণিমার নিতরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার মৃত্যুটি নিশ্চিত করেন। পিতার হাতে দু’ সন্তানের জননী মেয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কুড়িশাইল গ্রামের মতিলাল দাসের মেয়ে পুর্ণিমা রানী দাসকে বিয়ে দেয়া হয় একই উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামে। তার দু’টি সন্তনের রয়েছে। প্রায় সময়ই স্বামীর সাথে ঝগড়া করে পিত্রালয়ে আশ্রয় নেয় পুর্ণিমা রানী দাস। সম্প্রতি স্বামীর বাড়ি থেকে ঝগড়া করে বেশ কিছু দিন ধরে পিতার বাড়িতে থাকে পুর্ণিমা। স্বামীর বাড়িতে না যাওয়া, মেয়ে অসংলগ্ন চলাফেরায় মতিলালের সন্দেহ সৃষ্ট হয় মেয়ে উপর। পিতা হিসেবে ভিন্ন পথে চলতে মেয়েকে বারণও করেন মতিলাল দাস।
প্রায় ২/৩ দিন আগে বানিয়াচং উপজেলার সেকান্দরপুর এলাকার জনৈক যুবকের সাথে পালিয়ে যায় পুর্ণিমা। ঘটনাটি পিতার জন্য লজ্জা ও মানহানিকর হওয়ায় স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের মাধ্যমে রবিবার (২৬ অক্টোবর) বাড়িতে নিয়ে আসেন মতিলাল দাস। সোমবার দুপুরে নিজ ঘরে ঘুমন্ত মেয়েকে বটি দা দিয়ে কুপিয়ে করে হত্যা করেন পাষন্ড পিতা মতিলাল দাস।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুর্ণিমা রানী দাসের নিতরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে পুলিশ পাষন্ড পিতা মতিলাল দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয় আব্দুর রহিম নামে এক যুবক জানিয়েছেন মেয়েটি পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত এবং পুর্ণিমা রানী দাসের মোবাইল কল লিস্ট চেক করলেই মুল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোঃ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তিনি খুনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, খুনের দায়ে মেয়ের বাবাকে আটক করা হয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর