ইসলামি শরিয়তে ছেলে-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার একমাত্র সঠিক উপায় হলো বিয়ে। তবে বিয়ের সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে অভিভাবকের অনুমতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সময়ের পূর্বে বা অভিভাবকের অজান্তে গোপনে বিয়ে করা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হলেও সামাজিক ও পারিবারিক ক্ষেত্রে তা অনুচিত।
ফুকাহায়ে কেরামের মতে, কিছু শর্ত পূরণ হলে মা-বাবার অসম্মতিকে অগ্রাহ্য করা যায়।
এর মধ্যে রয়েছে:
.বিয়ে করার শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকা
.গুনাহে পতিত হওয়ার আশঙ্কা থাকা
.অভিভাবকের আপত্তি যুক্তিহীন হওয়া (যেমন: বংশমর্যাদা বা গোত্রগত বিদ্বেষ)
.বিয়ের প্রস্তাব শরিয়তসম্মত হওয়া
ইমাম নববি (রহ.) বলেছেন, ‘যখন বিয়ে ফরজ বা ওয়াজিব পর্যায়ের হয় এবং মা-বাবার আপত্তি যুক্তিহীন, তখন তাদের অসম্মতিকে অগ্রাহ্য করা যায়।’ (আল-মাজমু: ১৬/৩৪২)
তবে বাবা-মা যদি সম্মতি ছাড়া বিয়ে করলে কষ্ট পান, সে ক্ষেত্রে ছেলে গুনাহগার হবেনা। কারণ সে আল্লাহর নিষিদ্ধ কোনো কাজ করেনি, বরং ইসলামের বিধান অনুযায়ী নিজেকে গুনাহ ও জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিয়েতে পারিবারিক সম্মতির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শর্ত পূরণ হলে মা-বাবার অসম্মতিকে অগ্রাহ্য করেও শরিয়তের আলোকে বিয়ে করা বৈধ।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর