• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৩ সেকেন্ড পূর্বে
সোহেল রানা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০৮ রাত

বিয়ের আগেই গর্ভবতী, সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে ৪ দিন ধরে অনশন

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

বরিশাল থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এসে গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি দাবিতে টানা চার দিন ধরে অনশন করছেন সৈয়দা সোনিয়া আকতার নামে এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আগ নুকালী গ্রামে আনছার আলীর বাড়িতে।

কাবিননামা হাতে নিয়ে শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে অনশন শুরু করেন সোনিয়া। তিনি জানান, তার বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামে। প্রথম স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর দেড় বছরের সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি।

ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে রাফি আর্ট গ্যালারিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার সময় দুই বছর আগে পরিচয় হয় শাহজাদপুরের আগ নুকালী গ্রামের কিসমত মাষ্টারের ছেলে আনছার আলীর সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন।

পরে সোনিয়া অন্তঃসত্ত্বা হলে বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের ১ জুলাই সাভারের নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ের চার মাস না যেতেই আনছার আলী বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ফোনে জানান, তিনি মালয়েশিয়া গেছেন এবং যাওয়ার আগে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে আনছারের গ্রামের বাড়ি আগ নুকালীতে এসে অনশন শুরু করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, “ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব।”

এদিকে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। খবর পেয়ে আনছারের প্রথম স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস শিউলির পরিবারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

শিউলির বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, ২০০৩ সালে আনছারের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন সংসার করার পর বিদেশ যাওয়ার নাম করে আনছার পরিবারের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৮ লাখ টাকা নেয় এবং পরে সাউথ আফ্রিকায় চলে যায়। এরপর আনছারের পরিবার শিউলির ওপর নির্যাতন শুরু করে। বছর কয়েক আগে আনছারের পিতা কিসমত মাষ্টার ও বড় ভাই আফছার আলী তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনায় মামলা চলমান আছে।

আনছারের পিতা কিসমত মাষ্টার বলেন, “আনছারকে আমি সন্তান হিসেবে মানি না। তার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কবে আবার বিয়ে করেছে, তা জানি না।”

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল বারী বলেন, “মেয়েটি আনছারের স্ত্রী পরিচয়ে অনশন করছে। দুই পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।”

কুশল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]