মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাসে কর্মরত রাজস্ব খাতের সৃজনকৃত আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের ৩৪জন কর্মচারীকে ১১ মাস যাবত বেতন দেয়া হয়নি। এতে কর্মচারীগুলো পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন। এঅবস্থায় কর্মচারীরা বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ক্যাম্পাস চত্ত্বরে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে।
একই সাথে প্রত্যেক কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদানের দাবী জানানো হয়েছে। কর্মচারী আব্দুস সাত্তার জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে পরিচালিত হবার সময় থেকেই আমরা ৩৪ জন কর্মচারী বিভিন্ন পদে কর্মরত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়েছি। ২০২৪ সালে কলেজটি টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের সময় ৩৬জন কর্মচারীসহ সকল কিছু হস্তান্তর করা হয়। এরপর ৫মাস মাভাবিপ্রবি বেতন দিলেও গত ১১ মাস যাবত আমাদের বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে না। দ্রুত বেতন প্রদান না করলে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই।
কর্মচারী মোহন জানান, আমরা নিয়মিত কর্মচারী হলেও মাভাবিপ্রবির ভিসি ষড়যন্ত্রমুলকভাবে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আমাদের চাকুরী বাতিলের চেষ্টা করছে। আমরা প্রায় ১০ বছর যাবত চাকুরী করছি। আমাদের বয়স শেষ। চাকুরী চলে গেলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো? তাই আমরা দ্রæত আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরনপুর্বক নিয়োগপত্র প্রদানের দাবী করছি।
কর্মচারী আশাদুল কবির ও হামিদা খাতুন জানান, আমাদের প্রত্যেকের পরিবারের অন্তত ৩-৪জন করে সদস্য রয়েছে। ১১ মাস বেতন না পাওয়ায় খাওয়া-দাওয়াসহ নানা দু:খ-কস্টে দিনযাপন করছি। ছেলে মেয়ে অসুস্থ হলে একটা নাপা কেনার সামর্থ্য নেই। আমরা দ্রæত বেতন প্রদানের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে চাকুরীর নিয়োগপত্র প্রদানের দাবী করছি। এ বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ারুল আজীম আকন্দ জানান, কলেজটি হস্তান্তরের সময় ৩৬জন কর্মচারীকে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই বেতন দেয়া যাচ্ছে না।
তবে মানবিক কারনে আমরা ৫ মাসের বেতন দিয়েছি। কর্মচারীরা ১১ মাস যাবত কর্মরত রয়েছে, তাদের ভবিষ্যত কি? এমন প্রশ্নে বলেন, এ বিষয়ে এখন কথা বলতে পারব না। তবে হস্তান্তরের নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, জায়গা, ভবন, বিল্ডিংসহ দুইটি ব্যাচের ৯৯জন শিক্ষার্থী, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ ১১ন কর্মকর্তা এবং রাজস্বখাতের সৃজনকৃত আউটসোসিং এর মাধ্যমে প্রকল্পের জনবলসহ ৩৬ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর