নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বরগুনা-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা শহরের সাহাপট্টি সিদ্দিক স্মৃতি মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা প্রচার ও বরগুনাবাসীর প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ জনসভায় তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী উপস্থিত ছিলেন— বরগুনা জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. ফজলুল হক মাস্টার, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রেজবুল কবির এবং ওমর আবদুল্লাহ শাহীন।
সভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন এবং বরগুনাবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
অ্যাডভোকেট মো. রেজবুল কবির তার বক্তব্যে বলেন, একক ব্যক্তির হাতে যাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হয়, সেদিকে দলের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই বলেন তারেক রহমান ফোন দিয়েছেন, কিন্তু আসল বিষয় হলো বরগুনার মানুষ ধানের শীষে ভোট দিতে চায়, তবে তারা চায় সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে। দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত নেতৃত্বই বরগুনাবাসীর প্রত্যাশা।
বরগুনা জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফজলুল হক মাস্টার বলেন, তারেক রহমান সবসময় ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাকে পছন্দ করেন। কোনো চাঁদাবাজ বা টেন্ডারবাজকে দল মনোনয়ন দেবে না, বরং জনগণও এমন কাউকে ভোট দেবে না। আমি, রেজবুল কবির ও ওমর আবদুল্লাহ শাহীন — আমরা কেউই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমরা চাই সৎ, যোগ্য নেতার হাতে ধানের শীষের দায়িত্ব আসুক। এমন হলে বরগুনার মানুষ আনন্দের সঙ্গে ধানের শীষে ভোট দেবে।
সভা শেষে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ’ ও ‘তারেক রহমান জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মঞ্চ এলাকা।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর