• ঢাকা
  • ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪ মিনিট পূর্বে
ইয়ানুর রহমান
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:৪৩ রাত

যশোরে এইচআইভি সংক্রমণের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

যশোরে উদ্দেগজনক হারে এইচআইভি সংক্রমণ বাড়ছে । গত দশ মাসে এর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুন। বিশেষ করে তরুণ/তরুনী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ সমকামী হওয়ায় পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এইচআইভিতে সংক্রমিত ও আক্রান্ত হওয়া ৪০ জনের মধ্যে ছিল ২৩ জন পুরুষ এবং নারী ১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী। যেখানে ২০২৪ সালে মোট ২৫ জনের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিল ১২ জন, সে তুলনায় এ বছর মাত্র ১০ মাসে সে সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি ছড়িয়েছে। সংক্রমিত ও আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৭ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। এ পরিসংখ্যান গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা যায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জন সমকামী রয়েছে। ২০২৪ সালে যশোরে এইচআইভি সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৫ জন এবং আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) সেন্টারে এইচআইভি ও এইডস আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে ২২০ জন । এসব রোগীদের মধ্যে শুধু যশোর নয়, খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার মানুষও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অনিয়ন্ত্রিত জিবনযাপন, অপসংস্কৃতি এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপরে হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের ডা. কানিজ ফাতেমা বলেন, তরুণ শিক্ষার্থিদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার বর্তমানে উদ্বেগজনকভাবে হারে বাড়ছে। তাদের চাহিদা এখন বিপরীত লিঙ্গের চেয়ে সমলিঙ্গের প্রতি বেশি দেখা যাচ্ছে, যা এক ধরনের সামাজিক চক্রান্তের ফল। ডিজিটাল-ইন্টারনেট এবং স্মার্ট মোবাইলের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের প্রভাবেই এধরনের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়টি আমরা স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করছি।

অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত জিবনযাপন, অপসংস্কৃতি, ডিজিটাল- ইন্টারনেট এবং স্মার্ট মোবাইলের ব্যবহার সঠিক ভাবে করতে না পারলে আগামিতে এ সংক্রমণের সংখ্যা বহুগুন বৃদ্ধি পাবে। একমাত্র সামাজিক সচেতনতাই পারে এ সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে আনতে।

সাজু/নিএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]