বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অনেক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে আমাদের হাঁটতে হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে রাজপথ ফুল বিছানো হবে না, অনেক কাঁটা-কণ্টক পথ অতিক্রম করতে হবে। যে নির্বাচন নিশ্চিত করতে বেগম জিয়া জেল খেটেছেন, চিকিৎসা বঞ্চিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা, রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন। তারপরেও তাকে বাংলাদেশ থেকে সরাতে পারেনি এবং আত্মসমর্পণ করাতে পারেনি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দলের হাল ধরেছিলেন জনাব তারেক রহমান। শহীদ জিয়া যে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন, সেই পতাকা বেগম জিয়া ধারণ করেছেন, পরে তা তারেক রহমান ধারণ করে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য একটি দেশে। কিন্তু সেখানে থেকেও বিভিন্ন অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশে হানাহানি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন যেন না হয়, তার জন্য তিনি নানা ধরনের নির্দেশ দিচ্ছেন।
এরই মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের এক নেতা, যার নাম ডা. তাহের, তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন নাও হতে পারে। আগামী নির্বাচন না হতে পারে কেন? তাহের সাহেব, আমি জানতে চাই, এটা কিসের আলামত, কিসের ইঙ্গিত, কোথা থেকে আপনাদের দাবি আসছে? বার্তা আসছে? এটা জনগণ জানতে চায়। মানুষ ১৬ বছর নির্বাচন করতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। ভোটকেন্দ্র ছিল আওয়ামী লীগের গুন্ডাদের দখলে। ভোটকেন্দ্রে গরু, বাছুর, ছাগল, কুকুর ছাড়া কেউ যায়নি। আজকে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে। আর আপনারা বলছেন নির্বাচন নাও হতে পারে।
তিনি বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদীর হেরিটেজ রিসোর্টে আয়োজিত বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা সমাজে চাঁদাবাজি করে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে, দখলবাজি করে, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। তাদের জন্য বিএনপির দরজা বন্ধ। সমাজের সকল শ্রেণির ভালো মানুষ বিএনপির সদস্য হতে পারবে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অপরাধী খুব বেশি থাকে না, শতকরা একজন দুজন থাকে। কিন্তু এই দুই-একজনই সমাজকে কলঙ্কিত করে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর