 
          
 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কচাকাটা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডে আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অগ্নিকাণ্ডে সার, তেল, কীটনাশক ব্যবসায়ী অধীর চন্দ্র সাহার প্রায় ১৭ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। এছাড়া অপর সার, তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের ১০ লাখ, কাকলী ট্রেডার্সের মালিক হাছেন আলীর ১০ লাখ, মুদি দোকান মালিক মমিনুল ইসলাম, সুপারি ব্যবসায়ী আতাউর ও ইব্রাহিমের ৩ লাখ, সেলুন মালিক ফনি চন্দ্র শীলের ১ লাখ ৫০ হাজার এবং মসলা ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আলীর ৫০ হাজার টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান আশিক জানান, ভোর পৌনে ৫টার দিকে তিনি বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন। তিনি দ্রুত লোকজনকে ডেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খাইরুল ইসলাম নামের আরেক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, ভোর ৫টার দিকে কচাকাটা বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন লাগে এবং মুহূর্তেই তা পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অধীর চন্দ্র সাহার ছেলে প্রাণ চন্দ্র সাহা বলেন, "রাতে বাবা দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। ভোরে মানুষের হৈচৈ শুনে বাজারে এসে দেখি দোকানে আগুন জ্বলছে। আগুনে আমাদের ১৭ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।"
কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ.খ.ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ জানান, আগুন লাগার খবর শুনে তিনি নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে কাজ করেন।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
 সর্বশেষ খবর