গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে বিমান ও গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
শনিবার (১ নভেম্বর) আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চলছে, সেটি কার্যত ভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিনিদের। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত খান ইউনুস, দেইর আল-বালা ও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, এবং অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।
নিরাপত্তাহীনতায় গাজাবাসী
দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় এখন কেউই নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা প্রতিদিনই মৃত্যুভয়ে আছি। যুদ্ধবিরতি শুধু কাগজে আছে, বাস্তবে নয়।”
ইসরায়েলের বক্তব্য
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি মানছে; তবে হামাসের কোনো হামলা বা “উসকানির” জবাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাস এখনো কিছু এলাকায় সশস্ত্র অবস্থান বজায় রেখেছে।
মানবিক সংকট আরও গভীর
গাজা ইতিমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন, হাসপাতালগুলো ভরপুর, আর খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি চরমে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, যদি হামলা অব্যাহত থাকে, তাহলে গাজা আবারও পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে এবং মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হবে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থায় যদি উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি না মেনে চলে, তাহলে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ইসরায়েল যদি স্থল অভিযান শুরু করে, সেটি হবে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত।
সূত্র- Al Jazeera,The Guardian, AP News.
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর