শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে কয়েকজন আহত হন।
রোববার (২অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে সালাউদ্দিন বেপারী (৪০) ও কামাল বেপারী (৪৫)-এর নাম পাওয়া গেছে। তারা দুজনই চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এলাকার বাসিন্দা এবং হাতবোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এলাকার ইউপি সদস্য নাসির বেপারী এবং স্থানীয় তাজুল ছৈয়াল ও মুনতা বেপারী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিলাসপুরের বুধাইরহাট এলাকায় নাসির ও তাজুলের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনার জের ধরে রোববার আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা (ককটেল) ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল কর্মী সালাউদ্দিন ও কামালসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সালাউদ্দিনকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় হাতবোমা বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের একটি আট সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন ব্যক্তি লাল বালতি হাতে ‘এই ব্যাটা, এই ব্যাটা’ বলে চিৎকার করে হাতবোমা ছুড়ে মারছেন। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকা সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এদিকে, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির বেপারী ও স্থানীয় তাজুল ছৈয়াল ও মুনতা বেপারীর সঙ্গে বক্তব্যের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, “আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিলাসপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ নাশকতা ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসছিল। সম্প্রতি বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেও শনিবার ও রোববার ইউপি সদস্য নাসির বেপারী ও স্থানীয় মুনতা বেপারীর মধ্যে আবারও বিরোধ শুরু হয়। আমরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। যারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর