যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) গাজার শুজাইয়া এলাকায় এক ফিলিস্তিনি পুরুষকে ড্রোন হামলায় হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৬ জনে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ৫০২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে করে পুরো যুদ্ধকালীন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৮৫৬ জনে।
এদিকে, হামাস আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে তিন বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি সরকারও মরদেহ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর অনুযায়ী, মরদেহগুলো তেল আবিবের আবু কাবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা করা হবে।
হামাস জানিয়েছে, তিন ইসরায়েলি বন্দির মরদেহের বিনিময়ে ইসরায়েলকে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মরদেহ ফেরত দিতে হবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক লুটের অভিযোগ তুলেছে, তবে কোনো প্রমাণ দেখায়নি। এ অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর।
গাজায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা মারাত্মক সংকটে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ১৬ হাজারের বেশি রোগী এখনো গাজায় আটকা পড়ে আছেন, যাদের বিশেষ চিকিৎসার জরুরি প্রয়োজন।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির পরও গাজার শরণার্থীরা এখনো ভয়াবহ দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। শীত সামনে রেখে অনেকে ধ্বংসস্তূপ থেকে ইট ও কাদা দিয়ে আশ্রয় গড়ে তুলছেন।
গাজাবাসীর ভাষায়—“যুদ্ধবিরতি হলেও গাজা এখনো আক্রমণের মধ্যে আছে।”
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ খবর