সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় আসামী জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও তার পরিবারকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অবিলম্বে নিরাপত্তাসহ মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন তারা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের কাচিয়ার চর গ্রামের মোরশেদুল ইসলামের স্ত্রী ও মামলার বাদী নাজমা খাতুন এবং মামলার আসামী মৃত শহিদের ছেলে শান্তাহার আলী, মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে রাজু আহমেদ শান্তাহারের ছেলে রায়হান আলী, স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন ও সজিবের স্ত্রী শ্যামা খাতুন পরস্পর প্রতিবেশী। নাজমা খাতুনের পরিবার স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হওয়ায় শাসন্তাহার কিছুদিন পুর্ব হতে বাদীর স্বামী মোরশেদুল ইসলামের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। কিন্তু বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাদীর মেয়ের বিয়ের কারনে লোকসমাগম থাকাবাস্থায় শান্তাহারসহ মামলার আসামীরা কাঠের বাটাম, লোহার রড, রামদাসহ বিভিন্ন মারাত্বক অস্ত্র নিয়ে বাড়ীতে আসে এবং শান্তাহারের হুকুমে অন্যান্য আসামীরা বাদীর স্বামী মোরশেদুল ইসলাম, মামলার ২নং স্বাক্ষী নাজমুল, ৩নং স্বাক্ষী মনিজা খাতুন মারপিট করে। একই সময়ে আসামীরা বাদী নাজমা খাতুনের দুই কানের ৬ আনা ওজনের ৯০ হাজার টাকা মুল্যের স্বর্নের গহনা, বাদীর ঘরের শোকেজ ভেঙ্গে নগদ দুই লক্ষ টাকা, শোকের মধ্য থেকে এক ভরি ওজনের ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা লুটসহ ঘরের ২০ হাজার টাকার জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলে যায়। ঘটনার পর বাদী থানায় অভিযোগ দিলে থানা অভিযোগ গ্রহন না করায় নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহনপুর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সলঙ্গা থানার ওসি মামলাটি রেকর্ডপুর্বক মামলার ২নং আসামী রাজু আহমদেকে ১০ অক্টোবর গ্রেফতার করেন। আসামী রাজু আহমেদ ১২ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হয় এবং অন্যান্য আসামীরা ১২ অক্টোবর আদালত থেকে জামিন নেয়। জামিনে মুক্ত হবার পর থেকেই আসামীরা বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করছে। এমনকি মামলা তুলে না হলে হত্যা করা হবে বলেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ অবস্থায় বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মামলার বাদী নাজমা খাতুন জানান, জামিনে মুক্ত হয়েও রাজু আহমেদ ও শান্তাহারসহ সকলেই হুমকি প্রদান করছেন। প্রতিদিন বাড়ীতে এসে মামলার তোলার জন্য গালিগালাজসহ আমাদের যেখানে পাবে সেখানেই হত্যা করা হবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা দ্রুত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন ও আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মায়নুল হোসেন জানান, যদি মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে থাকে তবে থানায় জিডি করলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর