মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে মঙ্গলবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টন সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রার্থী হিসেবে আমজাদ হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসে জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সালাউদ্দিন/সাএ
 সর্বশেষ খবর