দখলকৃত পশ্চিম তীরে গত এক মাসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা অন্তত ২ হাজার ৩৫০টি হামলা চালিয়েছে। প্যালেস্টাইনি “কলোনাইজেশন অ্যান্ড ওয়াল রেসিস্ট্যান্স কমিশন (CWRC)”–এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাসে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনারা ১ হাজার ৫৮৪টি অভিযান ও হামলা চালিয়েছে। একই সময়ে ৭৬৬টি হামলা চালিয়েছে বসতি স্থাপনকারীরা।
CWRC জানিয়েছে, এসব হামলার মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর ধ্বংস, ভূমি দখল, কৃষিজমিতে আগুন দেওয়া, জলাধার ও পানি সরবরাহ লাইন নষ্ট করা এবং অলিভ গাছ কেটে ফেলা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে রামাল্লাহ, নাবলুস ও হেবরন এলাকায়।
রামাল্লাহ অঞ্চলে ৫৪২টি, নাবলুসে ৪১২টি ও হেবরনে ৪০১টি হামলার ঘটনা ঘটে। বসতি স্থাপনকারীদের হামলার মধ্যেও এই তিন অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত—রামাল্লাহতে ১৯৫টি, নাবলুসে ১৭৯টি ও হেবরনে ১২৬টি হামলা রেকর্ড হয়েছে।
CWRC তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এসব হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং একটি “সংগঠিত কৌশলের অংশ”—যার উদ্দেশ্য পশ্চিম তীরের প্যালেস্টাইনি জনগণকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা এবং সেখানে “বর্ণবাদী দখল ও উপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ” প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদন আরও জানায়, গত এক মাসে হেবরন, রামাল্লাহ, তুবাস, কালকিলিয়া, নাবলুস ও বেথলেহেম অঞ্চলে অন্তত ১ হাজার ২০০টি অলিভ গাছ উপড়ে ফেলা, পুড়িয়ে দেওয়া বা বিষ প্রয়োগে নষ্ট করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ইসরায়েলি হায়ার প্ল্যানিং কাউন্সিল (HPC) সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ১ হাজার ৯৮৫টি নতুন বসতি ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যালোচনা করছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সামিল বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উল্লেখ করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, পশ্চিম তীরে এই ক্রমবর্ধমান হামলা ও দখল কার্যক্রম ইসরায়েলি দখলদার নীতির ভয়াবহ রূপ তুলে ধরছে।
তারা বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এই সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সর্বশেষ খবর