ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী মুসলেহ শাফীর মৃত্যুতে ক্যাম্পাসজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মুসলেহ শাফী ছিলেন ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার চৌধুরী পাড়া কলেজ রোড এলাকায়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। প্রায় দুই মাস ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে জন্ডিস ধরা পড়ে, পরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। ক্যাম্পাসে তার আতর ও বইয়ের দোকানও ছিল।
সহপাঠী ওয়াসিফ আসিফ বলেন, “শাফী ছিল পরিশ্রমী, মেধাবী ও মিশুক শিক্ষার্থী। সে প্রায়ই অসুস্থ থাকত। প্রথমে ওর জন্ডিস ধরা পড়ে। তারপর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। ওর মৃত্যু আমাদের সবাইকে গভীর শোকে ডুবিয়েছে।”
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান খান বলেন, “মুসলেহ একজন দায়িত্বশীল ও মেধাবী ছাত্র ছিল। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এক বড় শূন্যতা। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “শাফীর মৃত্যু আমাদের জন্য এক ভীষণ দুঃসংবাদ। একজন মেধাবী, পরিশ্রমী ও বিনয়ী শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু আমাদের সবাইকে গভীর শোকাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার পরিবারের পাশে আছে এবং এই কঠিন সময়ে তাদের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন ও সহমর্মিতা জানাচ্ছে। আমরা প্রার্থনা করি, তার আত্মা শান্তি পাক এবং তার পরিবার এই দুঃখের সময় সাহস ও ধৈর্য ধরে এগিয়ে আসতে পারে।”
মুসলেহ শাফীর অকাল প্রয়াণে পুরো নোবিপ্রবি পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সহপাঠী, শিক্ষক ও বন্ধুদের মুখে এখন শুধু একটাই কথা, “হাসিখুশি সেই ছেলেটি আর ফিরবে না।”
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর