ঢাকার সাভারে সাবেক কোরিয়ান প্রবাসী ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ হত্যা, আসামীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের চাইড়া গ্রামে নিহত আমান উল্লাহর পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়।
এসময় আসামী নিহত আমান উল্লাহর স্ত্রী কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের উত্তর বালুরচর বৌন্নাকান্দি গ্রামের মাজহারুল হকের মেয়ে তাসনিম হক মৌরী (২০), রাহিমা হক (৫০) মাজহারুল হক (৬০), রাকিবুল হক রাকিব (৩৫), মুন হক (২৭), কবির বয়াতি (৬২) ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের কুরাইশনগর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে রিফাত হোসেন রাহাত (২১) কে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে নিহত আমান উল্লাহর বড় ভাই মো: সুমন আলী বলেন, আমার ছোট ভাই আমান উল্লাহ দীর্ঘ ১০ বছর কোরিয়াতে থেকে তিন বছর আগে বাংলাদেশে আসে। পরে পারিবারিকভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কেরানীগঞ্জের হযরতপুরের উত্তর বালুরচর গ্রামের মাজহারুল হকের মেয়ে তাসনিম হক মৌরীর সাথে বিয়ে হয়।
তবে রিফাত হোসেন রাহাতের সাথে আমার ভাইয়ের স্ত্রী মৌরীর পরকীয়া ছিল। পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে প্রায় সময়ই সংসারে ঝামেলা কথা কাটাকাটি হত। এতে আস্তে আস্তে দুজনের সম্পর্ক অবনতি হতে থাকে। নিহত আমান উল্লাহ থেকে মৌরীকে ছাড়াতে এবং তার সম্পদ আত্মসাতের পরিকল্পনা করে আসামিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ এপ্রিল তাসনিম হক মৌরী নিহত আমান উল্লাহ্ কে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। কৌশলে সাথে নেয় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৬ লাখ টাকা, ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ইউএসএ ডলার, স্বাক্ষর করা ২০ লাখ টাকা মূল্যের চেকসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। পরে ওইদিন রাতেই তাকে খাবারের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা।
এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামিদের এখনও আইনের আওতায় আনা হয় নাই। আমরা চাই অতি দ্রুত খুনি পরিবারকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।
মানববন্ধনে আমান উল্লাহর মা জাহেরা বেগম বলেন, “আমার ছেলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা এখন প্রমানিত। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই তার উপর নির্যাতন করে আসছিল তার স্ত্রী তাসনিম হক মৌরী ও শশুর বাড়ির লোকজন।
তাই অতি দ্রুত আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই, সুষ্ঠু বিচার চাই। আর যেন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দ্বারা কোন ছেলে হত্যার শিকার না হয়।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে নিহতের পরিবারের সদস্যসহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করেন তারা।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর