বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, জামায়াত একটি মোনাফেকী দল। জামায়াত ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষকে ভুল পথে চালানোর অপচেষ্টা করছে। ধর্মে বলা হয়েছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করো না। কিন্তু তারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে। এমনকি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে জামায়াতকে রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিল। অথচ সেই জামায়াত আজ জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন।
বুধবার সন্ধ্যার পর বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পাবার পর প্রথম সিরাজগঞ্জে আসার পর শহর বিএনপি আয়োজিত শহরের ট্রাক টার্মিনালে আয়োজিত গনসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী আল্লাহর নবীদের মনে পাপ ছিল বলে মন্তব্য করেছিল। মওদুদী পাকিস্তানে হাজার হাজার কাদিয়ানীকে হত্যা করায় ফাঁসির রায় হয়েছিল। কিন্তু সে পালিয়ে বেঁচেছে। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর ৯ ছেলের কেউ জামায়াত করে না। তিনি বলেন, জামায়াত ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল। তারা আলবদর-আল শামস গঠন করে আমাদের তরুন মা-বোনদের পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তখন বলেছিল যুদ্ধের সময় আমাদের নারীরা পাকিস্তানীদের হক ছিল। লাখো মানুষকে হত্যা করেছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি।
টুকু বলেন, জামায়াতের আমির বলেছে গণভোট না হলে আগামী ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হবে না। কিন্তু জনগনের চাহিদা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারী প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন হবেই হবে। তিনি বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা তালিমের নামে নানা প্রলোভন দেখাচ্ছে। মা-বোনসহ আপনারা তাদের মিষ্টি কথায় ভুলবেন না।
তিনি বলেন, আমরা যখন যুদ্ধ করেছিলাম তখন যুদ্ধ শেষে আমরা ক্ষমতার ভাগ চাইনি। আমরা যুদ্ধ শেষে ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে তলওয়ালা ঝুড়িতে পরিণত করেছিল। তখন দেশের মানুষ শ্লোগান দিয়েছিল আর খাব না আটার জাই নৌকা মার্কায় ভোট নাই।
টুকু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে দুটি কারনে মনোয়ন দিয়েছেন। এক বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থরক্ষা করা জন্য এবং দেশের মানুষের সেবা করা জন্য। আমি দুটোই পালন করবো। তিনি বলেন, বিএনপি সর্ববৃহত দল, বিএনপি লড়াকু দল, বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো। পুড়ে গিয়ে আবারো উড়ে। বিগত ১৬ বছর আওয়ামীলীগ নির্যাতন করে বিএনপি শেষ করতে পারেনি। তাই কেউ বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারবে না।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, শহর বিএনপির সভাপতি সেলিম ভুইয়া, সাধারন সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলম প্রমুখ।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর