দেশজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কায় সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন ঘোষণা করবে। এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
গত কয়েকদিনে অন্তত ৫০টি ককটেল বিস্ফোরণ, ২০টির বেশি বাস ও কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকায় সেনা টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েনের জন্য সেনাসদরে চিঠি দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোয়েন্দা নজরদারি, সাইবার মনিটরিং এবং দেশজুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত তিনদিনে ঢাকায় ১০০ জন ও অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, টাকার বিনিময়ে কিছু যুবককে মিছিল ও নাশকতার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ১২টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহে এক বাসে আগুনে হেলপার নিহত হয়েছেন। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ধানমণ্ডি ও যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
সহিংসতা ও নিরাপত্তা শঙ্কায় রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ড্যাফোডিল, ইস্টওয়েস্ট, এআইইউবি, শান্ত-মারিয়ামসহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইনে পাঠদান শুরু করেছে।
ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই। যারা নাশকতা বা উসকানি দিচ্ছে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। নাগরিকদের গুজবে কান না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর