দেশের গণমাধ্যমে ভুয়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রবণতা বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে দৈনিক মানবজমিন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নানা ধরনের বানানো ও অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে। মন্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্পাদক মনে করেন—ট্যাবলয়েডের ক্ষেত্রে নৈতিকতার নিয়ম প্রযোজ্য নয়। অথচ যুক্তরাজ্যে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো সাংবাদিকতা নীতিমালা ভঙ্গ বা মানহানির দায়ে প্রায়ই কোটি কোটি টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হয়।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে মানহানির মামলার কোনো বাস্তব ফলাফল না থাকায় পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন মিডিয়া প্রায়ই ইচ্ছেমতো খবর প্রকাশ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ জানালেই তারা “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা”র দোহাই দেয়—কারণ তারা জানে, যে–যাই প্রকাশ করুক বিচার বা জবাবদিহির মুখে পড়তে হয় না।

শফিকুল আলম আরও বলেন, এমন অনেক গণমাধ্যম সম্পাদক আছেন, যারা নিজেরাই নিয়মিত অভিযোগ করেন যে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই—এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো গবেষণা না করেই এসব দাবি সমর্থন করে থাকে। অথচ বহু সাংবাদিক যে হামলা বা হয়রানির অভিযোগ করেছেন, সেগুলো সবই পেশাগত কারণে হয়েছিল কি না—তা যাচাই করা হয়নি।
তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর পর থেকেই সাংবাদিকরা দেশে নজিরবিহীন সংবাদ–স্বাধীনতা ভোগ করছেন। সেনাবাহিনী সম্পর্কেও ভিত্তিহীন মন্তব্য প্রকাশ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবুও অনেক সাংবাদিক নিয়মিত অভিযোগ করে চলেছেন যে দেশে সাংবাদিকতার পরিবেশ নেই।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর