কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী উপজেলা (তৎকালীন ভূরুঙ্গামারী থানা) হানাদার মুক্ত হয়। শুক্রবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে 'আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান' এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ। অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শাহজাহান মানিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ জন মিত্র ও ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল হক বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রফিকুল হাসান রনজু।
দোয়া মাহফিলে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ভূরুঙ্গামারী দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা। মিত্রবাহিনী ১৩ নভেম্বের সকাল থেকে ভূরুঙ্গামারী সদরের হানাদার বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে কামানের গোলা নিক্ষেপ শুরু করে। অপরদিকে মিত্রবাহিনীর বিমান ভূরুঙ্গামারীর আকাশে চক্কর দিয়ে শত্রুর ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলা বর্ষণ করে। ত্রিমুখী আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা। ওইদিন মধ্যরাতেও থেমে থেমে চলতে থাকে পাকিস্তানি সৈন্যদের গোলা বর্ষণ। সূর্যোদয়ের আগেই পাকিস্তানিদের গোলা বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভূরুঙ্গামারীতে ঢুকে পড়েন। তৎকালীন সিও অফিসের (বর্তমান উপজেলা চত্বরের) দোতলার একটি কক্ষ থেকে ১৫/১৭ জন ও ভূরুঙ্গামারী হাই স্কুলের একটি কক্ষ থেকে ১৫/১৬ জন নির্যাতিত বিবস্ত্র নারীকে জীবিত উদ্ধার করেন মুক্তিযোদ্ধারা। দোয়া মাহফিলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি চারণ করেন। এসময় উপজেলার দশ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর