কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সহকারী জজ আদালতের রায় অনুযায়ী অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ চান্দুনিয়া গ্রামে কুড়িগ্রাম জজ আদালতের নায়েব নাজির মোঃ গোলাম রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ, ভূমি অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের একটি যৌথ দল অভিযানে অংশ নেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মৃত অছিমুদ্দিনের পুত্র মোঃ আব্দুল মজিদ গং এর মালিকানাধীন ১ একর ৪৯ শতক জমির মধ্যে ২২ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন চরসতিপুরী গ্রামের মৃত উজির সেখের পুত্র আফাজ উদ্দিন ও একই গ্রামের সোহরাব আলীর পুত্র মন্টু মিয়া। এদিকে ২০১৮ সালের ২৬ জুন ঐ জমির মালিকানা দাবী করে মৃত উজির সেখের পুত্র আফাজ উদ্দিন ও সোহরাব আলীর পুত্র মন্টু মিয়া আব্দুল মজিদ গংয়ের দলিল বাতিলের মামলা দায়ের করে যার নং ৩৭/১৮। মামলা চলাকালীন বাদীপক্ষ আদালতে জমির সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হয় এবং নিয়মিত মামলার শুনানীতে অংশ না নেয়ায় আদালত মামলাটি বিবাদীর অরুকুলে রায় ঘোষনা করে। পরে বিবাদী আব্দুল মজিদ গং ৩৭/১৮ মামলার বাদী কর্তৃক অবৈধ দখল হতে জমি উচ্ছেদ করার জন্য ভুরুঙ্গামারী বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, কুড়িগ্রাম বরাবর একটি মামলা দায়ের করে যার নং ৩৪/১৮ । মামলায় বিবাদীপক্ষ ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর/২৫ তারিখে কুড়িগ্রাম সিভিল কোর্ট কমিশনার,জারি কারক নাজির ও ঢুলি উপস্থিত হলে ৩৭/১৮ মামলার বাদী আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে বাধা প্রদানসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় ডিক্রি প্রাপ্ত বাদী আব্দুল মজিদ গং ২৮ সেপ্টেম্বর/২৫ তারিখে পুলিশের সহায়তা চেয়ে আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সিভিল কোর্ট কমিশনারের নির্দেশে নায়েব নাজির মোঃ গোলাম রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অবৈধ দখলদারদের নির্মিত বসতঘর ভেঙে জমি উদ্ধার করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আদালতের রায় ও প্রশাসনের উদ্যোগে অবশেষে জমির বৈধ মালিকরা তাদের দখল ফিরে পেলেন।জমির দখল বুঝিয়ে পেয়ে জমির মালিকগণ আদালতের নিকট ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে জানান।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর