টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দীর্ঘ প্রতিকূলতা পেরিয়ে এমন ফলনে কৃষক–কৃষাণীদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। স্বপ্ন পূরণের আশায় তারা দিন গুনছেন—কবে সেই সোনালি ধান ঘরে তুলবেন, আর বাজারে বিক্রি করে পরিবারের চাহিদা মেটাবেন।
পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য নতুন জামাকাপড়, ঘরের গিন্নিদের জন্য শাড়ি-চুড়ি—সব মিলিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক নতুন ধান বিক্রি করে বাজার থেকে গরম গরম জিলাপি ও মিষ্টি কিনে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, হেমন্তের হালকা বাতাসে দুলছে পাকা ও আধাপাকা ধানের স্বর্ণালি শীষ। মাঠজুড়ে ধানের সমারোহ যেন সৌন্দর্যের উৎসব। পাকা ধানের মিষ্টি গন্ধে ভরে উঠেছে বাংলার মাঠ-ঘাট। কোনো কোনো জায়গায় শুরু হয়েছে ধান কাটার মহোৎসব। কৃষকের উঠোনে ইতোমধ্যে জমতে শুরু করেছে নতুন ধান। এ ব্যস্ত সময়ের মাঝে কৃষাণীরাও দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না। ধান কাটার পর দ্রুত জমি প্রস্তুত করে সরিষা চাষের পরিকল্পনায় ব্যস্ত সবাই।
নতুন করে পাইজাম ধান চাষে রেকর্ড গত কয়েক বছর অতিরিক্ত বন্যার কারণে যে সব জমিতে ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি, এবার সেসব জমিতে পানির পরিমাণ কম থাকায় রেকর্ড পরিমাণ পাইজাম জাতের ধান চাষ হয়েছে। ফলে আমন উৎপাদন আরও বেড়েছে।
কৃষকের মতামত স্থানীয় কৃষক মো. আলম মিয়া বলেন, “আমি তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার বন্যার পানি কম থাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ধানের দাম কিছুটা কম হলেও খড়ের দাম বেশি। সব মিলিয়ে খরচ মিটিয়ে ভালোই লাভ হবে আশা করছি।”
গোপালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন এবার আমনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১২৮০০ হেক্টর জমি তার থেকেও বেশি অর্জন হয়েছে যা অর্জন হয়েছে ১২৯০০ গোপালপুরের ইউনিয়ন ও পৌর শহরের আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, তাই কৃষকের মুখে হাসি। এবারের আমন মৌসুমে এমন অপ্রত্যাশিত বাম্পার ফলন কৃষকদের নতুন আশার সঞ্চার করেছে। গোপালপুরের মাঠ তাই এখন সোনালি শস্যের আলোয় ভরে উঠেছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর