ভোলার চরফ্যাশনে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঝর্না নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূকে শশুর বাড়ী থেকে স্বজনরা মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। গৃহবধূর এমন মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ঝর্না দুই সন্তানের জননী।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২টায় উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঝর্না ওই এলাকার শাকিলের স্ত্রী এবং চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের মো. রফিজলের মেয়ে।
ঝর্নার শশুর ইউসুফ মাঝি বলেন, ‘আমার ছেলে শাকিল একজন গ্রাম্য চিকিৎসক। ছেলে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পৌর শহরে বসবাস করেন। তাদের ৭ বছর বয়সী জারিফ নামের এক ছেলে ও ৩ মাস বয়সী জাইফা নামে এক শিশু কন্যা রয়েছে। আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার কারনে আমার ছেলে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে আমার গ্রামের বাড়ীতে আসেন। আজ সোমবার সকাল ৯ টায় আমি বাসা থেকে বের হয়ে যাই। এদিকে আমার ছেলে তার সন্তান জারিফকে স্কুলে নিয়ে যায়। আমি ১১টায় বাসা ফিরলে পুত্রবধূ ঝর্না তার তিন মাসের বাচ্চাটাকে আমার কোলে দেয়। কিছুক্ষন পর আমি দেখতে পাই পুত্রবধূ বমি করতেছে। তাৎক্ষনিক আমি তার বাবার পরিবারের লোকজনদেরকে খবর দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে পুত্রবধূ কেনো বিষ পান করেছে এই বিষয়টি আমি জানিনা।’
এদিকে গৃহবধূর ফুফু কুলসুম বলেন, ‘আমরা ঝর্নার মৃত্যুর খবরটি দুপুর দেড়টার দিকে শুনেছি। তখন ঝর্নার মা আমার সাথেই ছিল। তাৎক্ষনিক আমরা হাসপাতালে আসি। তবে কি কারনে ঝর্না বিষ পান করেছে আমরা জানিনা।’
চরফ্যাশন হাপসাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানান, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত অবস্থায় স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, ঘটনাটি জেনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত গৃহবধূর বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর