মিথ্যা চুরির অভিযোগে আনোয়ার হোসেন নামে এক রিকশা চালককে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে উঠায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এক এস,আইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত এস, আই মাইনুল হোসেন সলঙ্গা থানায় সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন থানার দেওভোগ গ্রামের মৃত জিহাদ হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১০ জুলাই রাতে এস,আই মাইনুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ধুবিল কাটারমহল গ্রামের একটি বাড়িতে চুরির মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে রাতভর থানার হাজত খানায় আটকে রাখা হয়। পরেরদিন সকালে তাকে থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করে চুরির ঘটনায় স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন এস,আই মাইনুল। স্বীকার না করায় হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় জুলাই আন্দোলনে হামলা ও অস্ত্র লটের মামলায় গ্রেপ্তার করার ভয় দেখানো হয়।
এ অবস্থায় কোন তথ্য না পেয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন এস,আই মাইনুল। এরপর ১৬ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে রিকসা চালক আনোয়ারকে মুসলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার আগে আটক করার পর পুলিশ কোন নির্যাতন করেনি এবং ঘুষ নেয়নি মর্মে আনোয়ারের কাছ থেকে ভিডিও রেকর্ড করে রাখেন এস,আই মাইনুল। ভুক্তভোগী আনোয়ার ভয়ে এতোদিন বিষয়টি গোপন রাখলেও ১১ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি ৭দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবদেন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, সলঙ্গা থানার এস,আই মাইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য এসপি স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ৭ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবদেন দাখিল করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার সলঙ্গা থানার অভিযুক্ত এস,আই মাইনুল হোসেন বলেন, ১১ বছরের চাকুরী জীবনে আমার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন ও অবৈধভাবে কাউকে আটকে রেখে নির্যাতনের রেকর্ড নেই। রিকসা চালক আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ মিথ্যা। তদন্তে সত্য প্রমানিত হলে আমি নিজেই চাকরি ছেড়ে দেব।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর