বাগেরহাটের চিতলমারীতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” স্লোগানের তথাকথিত তারুণ্যের উৎসব বাস্তবে পরিণত হয়েছে এক বিব্রতকর ‘ঝটিকা আনুষ্ঠানিকতায়’।
যে মেলা ও পিঠা উৎসবকে দিনব্যাপী আয়োজন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তা কার্যত শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়—অংশগ্রহণকারী বা দর্শনার্থী কেউই তেমনভাবে উপস্থিত হতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন দৃশ্য। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এবং প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন—কিন্তু আনুষ্ঠানিকতা সেরে অনুষ্ঠানটি ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নিরবে গুটিয়ে ফেলা হয়।
স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের নানা খাবার ও দেশীয় পিঠার স্টল স্থাপনের কথা থাকলেও অধিকাংশ স্টলই খালি ছিল। তরুণ উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনীর প্রদর্শনীর যে পরিকল্পনা প্রচার করা হয়েছিল, তা কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে দেখেন—মাত্র কয়েকটি বেলুন ঝুলছে, স্টলগুলো বন্ধ, আর পুরো মাঠ ফাঁকা। দর্শনার্থী তো দূরের কথা, আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তাদের কাউকেও তখন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ— “মেলা হয়েছে নামমাত্র, লোক দেখানো ছবি তোলার পরই সব গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। যাদের জন্য আয়োজন, তারা আসতেই পারেনি।” অনেকে লোকমুখে শুনে ১০:৩০ বা ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে হতাশ হয়ে ফিরে যান। গ্রাম্য চায়ের দোকান ও বাজারে আলাপচারিতায় শোনা যায়—উপজেলা প্রশাসনের দু–একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন, কিন্তু প্রকৃত উদ্যোক্তা বা সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না বললেই চলে। পুরো আয়োজনকে অনেকে ‘ভেলকিবাজি’ বা ‘কাগুজে অনুষ্ঠান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর