বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুটি ব্যবসায়ী পরিবারের অন্তত ৬টি বসতঘর ও কাঠ ব্যবসায়ীর কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া ও কাঞ্চনপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই অগ্নিকাণ্ডে দুই পরিবারের প্রায় ২৭ লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী ভস্মীভূত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গাড়িদহ ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার মৃত সাত্তারের ছেলে বাদাম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তার বাড়িতে থাকা ৬টি বসতঘর ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে বাদাম ব্যবসায়ীর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, গাড়িদহ কাঞ্চনপুর এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী বাবুও এই অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন। আগুন লাগার ফলে তার দোকানে রাখা বিপুল পরিমাণ আসবাবপত্রের কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কাঠের পাশাপাশি তার গুদামে রাখা প্রায় ১০০ মণ ধানও আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। এই ঘটনায় তার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে আগুন লাগার ঘটনায় আশেপাশে দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও দাহ্য বস্তুর কারণে মুহূর্তে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া পরিবার দুটি এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। খবর পেয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শহিদুল ইসলামেন পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা প্রদান করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ব্যবসায়িক বাদামসহ বাড়িঘর ও আসবাবপত্র আমার সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। ক্ষতিগ্রস্ত বাবু বলেন আমার ব্যবসায়িক মূলধনটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এখন আমি পথের ফকির। এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ওয়্যার হাউজ সিভিল ডিফেন্স বখতিয়ার উদ্দিন জানান খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে বসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে তবে একটি বাড়ি পুড়ে গেছে পাশেন অন্যকোন বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর