বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের (বিসেক) সভাপতি বাদিউল কবির বলেছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় বেতন কমিশনের (পে কমিশন) সুপারিশ জমা দেওয়া সম্ভব। তবে এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ৫ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, “নতুন পে স্কেলের জন্য কর্মচারীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কমিশন ইচ্ছে করলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অন্তত সারসংক্ষেপ আকারে হলেও সুপারিশ জমা দিতে পারবে। অন্যথায় কর্মচারীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।”
বাদিউল কবির আরও জানান, কর্মচারীরা এখন একজোট এবং যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি বলেন, “আমরা কমিশনকে সময় দিচ্ছি। যদি বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হয়, তাহলে কমিশনকে এক বছরের কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বাধ্য করা হবে।”
এদিকে নতুন সরকারি বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য সোমবার বিকাল ৩টায় জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর সভাপতি জাকির আহমেদ খান।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলয়ী প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে নতুন সুপারিশ তৈরি করা হবে।
জানা গেছে, পে কমিশন ইতিমধ্যে সুপারিশ তৈরির প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। আগামী সপ্তাহে সচিবদের মতামত গ্রহণের পর চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে। যদি কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশ জমা না দেয়, তবে ৫ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে বিসেক বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর