বাংলাদেশ প্রকৃতি ও ইতিহাসের এক অনন্য সমাহার, যেখানে পাহাড়, নদী, সমুদ্র ও প্রাচীন নিদর্শন মিলিয়ে দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্র। এগুলোতে ভ্রমণ করলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সংক্ষেপে-
১) সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যা নীল সমুদ্র ও সাদা বালুকার জন্য বিখ্যাত। এখানে স্নোরকেলিং, ডাইভিং এবং সমুদ্রতট ঘুরে দেখার সুযোগ আছে। শান্ত পরিবেশ, প্রবালপ্রাচুর্য এবং সমুদ্রের নীরবতা পর্যটকদের জন্য এক অপরূপ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
২) কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত। সুবর্ণ বালুকা, নীল সমুদ্র ও মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্তের জন্য এটি বিখ্যাত। ইনানি, হিমছড়ি ও লাবণী পয়েন্টের মতো জায়গাগুলো পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। সমুদ্রসৈকতের শান্ত পরিবেশ এবং সমুদ্রের ঢেউ পর্যটকদের মনকে প্রফুল্ল করে।
৩) বান্দরবান
বান্দরবান বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাহাড়ি জেলা, যেখানে মেঘ, পাহাড় আর সবুজ প্রকৃতি মিলেমিশে এক অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নীলগিরি, নীলাচল, কেওক্রাডং ও বগা লেকের মতো জনপ্রিয় স্থানগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে। শান্ত পরিবেশ, আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঝরনা–ঝিলের সৌন্দর্য মিলিয়ে এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বর্গ বলা হয়।
৪) সিলেটের রাতারগুল ও জাফলং
সিলেটের রাতারগুল দেশের একমাত্র স্বাভাবিক সোয়াম্প ফরেস্ট, যেখানে বর্ষায় নৌকায় করে গাছপালার ভেতর দিয়ে ভেসে চলার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। স্বচ্ছ জল, নীরব বন আর সবুজের ঘন ছায়ায় রাতারগুল যেন এক জাদুকরি জলাবন। পাশাপাশি জাফলং পাহাড়, ঝরনা ও পাথুরে নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়ের পাদদেশে পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির দৃশ্য জাফলংকে সিলেটের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত করেছে।
৫) সোনারগাঁও (পানাম নগর)
বাংলার প্রাচীন রাজধানী। বিশেষ করে পানাম নগর, বাংলার প্রাচীন রাজধানীর এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন। এখানে ইউরোপীয় ধাঁচের পুরনো ভবন, সরু রাস্তা ও স্থাপত্যভঙ্গিমা অতীতের গৌরবময় ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দেয়। জনশূন্য এই নগরের প্রতিটি দেয়ালেই লুকিয়ে আছে বহু গল্প, যা ইতিহাসপ্রেমী এবং ফটোগ্রাফারদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর