আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫ বাতিলসহ ঠিকাদার প্রথা বিলপ্ত করে সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং ও প্রকল্প কর্মরতদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করে বয়স শিথিল করে আত্মীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নবায়ন বা মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ করে পুরাতন কর্মরতদের বহাল রাখতে হবে, বিনা কারনে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এসব বিষয়বস্তু নিয়ে এক দফা দাবিতে আজ রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।
এক দফা মূল দাবির সাথে সংযুক্তি করণ ছিল যে সমস্ত বিষয়গুলো সেগুলো হল -
কর্মরত সকল কর্মচারীদের চাকরীর নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে ও বিগত দিনে চাকুরীচ্যুতদের অতিশীঘ্রই পুনঃবহাল করা এবং ৪.৬.১২ ও ৮৪ মাস যাবত বকেয়া বেতন পরিশোধ সহ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে পরিপত্র জারি হবে;
সকল প্রকার ভাতাসহ ও মাতৃতীতকালীন ৬ মাস ছুটিসহ সকল প্রকার ছুটি প্রদান করতে হবে এবং ৫% ইনক্রিমেন্টসহ পে-কমিশনের আওতায় অন্তরর্ভক্ত করতে হবে।
আউটসোর্সিং নীতিমালা-২০২৫ বাতিল করে প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী কর্মরত আছে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাঁদেরকে বাতিল করে পুনরায নতুন কোন কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদান করতে পারবে না কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান।
সকল অস্থায়ী কর্মরত কর্মচারীদের কর্মস্থল নিরাপত্তার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ ও শ্রমিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন করতে হবে;
সর্বোচ্চ ১৫ দিনের ভিতরে সকল ফাইল অনুমোদন দিতে হবে এর বেশি সময় ফাইল আটকে রাখা যাবে না। যদি কোন দপ্তরে ফাইল আটকে থাকে তাহলে উক্ত দপ্তরের নিযন্ত্রন কর্তৃপক্ষ তাহার জবাবদিহিতা করবে। পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে।
কর্মচারীদের প্রবেশের বযস সীমা ১৮-৩৫ বা ১৮-৪০ বছর করতে হবে এবং কর্মচারী সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত চাকুরী করতে পারবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড: কর্মচারীদের জন্য চাকুরী শেষে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড এর অবশ্যই থাকতে হবে যাতে করে চাকুরী শেষে সে এককালীন কিছু অর্থ দিয়ে তার বাকি জীবনটা আর্থিক অস্বচ্ছলতা থেকে মুক্তি পাই। (পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে)।
অস্থায়ী কর্মচারীরা যে যে পদে কর্মরত আছে পরবর্তী সময়ে যদি এই পদের বিপরীতে কখনও কোন সরকারি ভাবে নিযোগ দেওয়ার হয় বা সরকার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তবে উক্ত পদে নিযোজিত অস্থায়ী কর্মচারীদের-কে অগ্রাধিকার দিযে সেই পদে স্থায়ী করতে হবে। (পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে)
সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা- ২০২৫ সংশোধন করে সকল ভাতা, সকল ছুটি ও ৩০ দিনের হাজিরা প্রদান করতে হবে এবং বয়স শিথিল করে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরবর্তী রাষ্ট্র প্রধানের কাছে বিধিবিধানসহ ফাইল হস্থান্তর করতে হবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর