• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৯ মিনিট পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ রাত

বাংলাদেশে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করল অনার

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেমের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অত্যাধুনিক কারখানা উদ্বোধন করেছে। এই কারখানা উদ্বোধনের মাধ্যমে অনার বাংলাদেশে তাদের পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নিল। এখানে সংযোজিত ডিভাইসগুলো খুব শিগগিরই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল নিয়ে দেশের বাজারে আসবে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বিটিআরসি’র পরিচালক মো. নূরন্নবী, এসইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি., বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া এবং স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অনারের নেতৃত্ববৃন্দ এবং স্মার্ট টেকনোলজিসের প্রতিনিধিগণ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কারখানায় যন্ত্রাংশ সংযোজনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই প্রযুক্তিচালিত অটোমেশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে নির্ভুলভাবে ও কার্যকরী উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করবে। প্রারম্ভিক পর্যায়ে কারখানাটি একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন ১,৫০০ ইউনিট উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে পরিচালিত হবে। এছাড়া, প্রথম বছরের মধ্যেই অনার চারটি প্রোডাকশন লাইন চালুর পরিকল্পনা করেছে, যা ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উৎপাদন সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এখন আমাদের নিজেদের দক্ষতার যে ঘাটতি রয়েছে, তা কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা আরও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি তরুণদের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে স্মার্ট ও অনার বাংলাদেশে অর্থবহ কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের দিকে সত্যিকার অর্থেই একটি বড় পদক্ষেপ নিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কারখানা লাইনগুলো বাস্তবিক অর্থেই কর্মসংস্থানবান্ধব করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি লাইন ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে এবং আগামী বছরে চারটি লাইন চালু হবে। এর মাধ্যমে দেশে উল্লেখযোগ্য দক্ষ জনবল তৈরি হবে, দক্ষতা-বিনিময়ের সুযোগ বাড়বে, এবং এই শিল্পকে ঘিরে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ তৈরিতে উৎসাহিত হবেন।’

এছাড়া নীতিগত সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার স্থানীয় মোবাইল/স্মার্টফোন বাজারকে শক্তিশালী করতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ‘আমরা শিগগিরই অবৈধ স্মার্টফোন আমদানি মোকাবিলায় ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারের (এনইআইআর) কাজ শুরু করছি এবং শুল্ক কাঠামো সংস্কার করছি, যাতে স্থানীয় উৎপাদন আমদানির তুলনায় আরও আকর্ষণীয় হয়। এদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ সাবমেরিন কেবল যুক্ত হওয়ায় ডেটার দামও কমে যাবে।’

ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারের হার বৃদ্ধি করবে বলে তিনি মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাইবার নীতি, ডেটা সুরক্ষা নীতি এবং ডেটা গভর্নেন্স/ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করবে এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে জনগণের আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে। সঠিক প্রণোদনা থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার ৪০ শতাংশ থেকে ৭০ এমনকি ৮০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারে।’

অনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং বাংলাদেশ নিয়ে অনারের লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, ‘এই কারখানা শুধুই একটি অবকাঠামো নয়। এটি অনার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এক অংশীদারিত্বের প্রতীক-যেখানে বৈশ্বিক দক্ষতা ও স্থানীয় সক্ষমতার সম্মিলন ঘটেছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা নয়; এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে স্থানীয় পেশাজীবিদের দক্ষতা বিকশিত হবে, প্রযুক্তি অগ্রসর হবে এবং সম্প্রদায় আরও সমৃদ্ধ হবে। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা উৎপাদনে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং সততার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার আমাদের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করছি।’

স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে অনার ফোন ইতিমধ্যে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। তবে ব্যবহারকারীরা আরও সাশ্রয়ী দামে অনারের ফোন কিনতে চান। স্থানীয় এ চাহিদা মেটাতেই আমরা এই কারখানা স্থাপন করেছি। আমাদের প্রাথমিক উৎপাদনক্ষমতা ৬০ হাজার ইউনিট, এবং চাহিদা বাড়লে তা আরও বৃদ্ধি করা হবে। নতুন স্থাপিত হওয়া কারখানা শুধুই একটি কারখানা বা ইটের স্থাপনা নয়; এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং একক রপ্তানিমুখী শিল্পের ওপর নির্ভরতা কমাচ্ছে।পাশাপাশি, ভবিষ্যতে বৈশ্বিক প্রযুক্তি উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বাংলাদেশের সক্ষমতারও প্রমাণ এটি।’

মাসুম/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]