টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঘটেছে হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা। মাত্র ১০ বছরের স্কুলছাত্র জিহাদ অভিমানেই চলে গেছে না–ফেরার দেশে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বেতুয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। দীপ্তি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র জিহাদ মালদ্বীপ প্রবাসী আনিস মিয়ার একমাত্র ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, সন্ধ্যায় সমবয়সী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয় জিহাদের। এতে রাগ করে মা তাকে বকা দেন। এর কিছুক্ষণ আগেই দাদার সঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে এসেছিলো জিহাদ। কিন্তু কে জানতো, সেই শিশুর মনে কেমন ঝড় বইছিল! রাতের খাবার খেয়ে মা ঘরে ফিরে দেখেন—নিজের থাকার ঘরেই জিহাদ আর নেই… চলে গেছে চিরবিদায়ের পথে।
তাকে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, জিহাদ আর ফিরছে না।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে সখীপুর হাসপাতালের করিডোরে হৃদয়বিদারক দৃশ্য—জিহাদের মা বারবার আহাজারি করছেন, *“আমার জিহাদকে রেখে আমি কোথাও যাব না…”* স্বজনেরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর বুকভাঙা কান্নায় পুরো পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। আজ বুধবারও শত শত মানুষ ভিড় করে ছোট্ট জিহাদের বাড়িতে; শোক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।
দীপ্তি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজন আহমেদ ব্যথা নিয়ে বলেন, *“জিহাদ মেধাবী ছাত্র ছিল। গতকালও পরীক্ষা দিয়েছে। এ ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। বাবা-মা হিসেবে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে—শিশুর মনোজগৎ কতটা নরম, তা আমরা যেন ভুলে না যাই।”*
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো মৃত্যুর পর। পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেন, লাশ থানায় আনা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
এক মুহূর্তের অভিমানে নিভে গেলো একটি ছোট্ট স্বপ্ন। জিহাদকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বেতুয়া গ্রামে।
আরো আবেগ, শিরোনাম, ক্যাপশন বা সোশ্যাল মিডিয়ার উপযোগী ভার্সন চাইলে বলুন, করে দেব।
নিচের লেখাটি *জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকার মান, ভাষা ও কাঠামো* অনুযায়ী পরিমার্জন করে সাজানো হলো— (নৈপুণ্য, ভারসাম্যপূর্ণ তথ্য, মানবিক দিক ও সাংবাদিকতার শিষ্টাচার বজায় রাখা হয়েছে)
*মায়ের বকুনিতে অভিমান করে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জিহাদের মৃত্যু*
*সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি* টাঙ্গাইলের সখীপুরে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে জিহাদ (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বেতুয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জিহাদ দীপ্তি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মালদ্বীপপ্রবাসী আনিস মিয়ার একমাত্র ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর সমবয়সী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় জিহাদের। এ নিয়ে মা তাকে বকাঝকা করেন। এর কিছুক্ষণ আগেই জিহাদ দাদার সঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেছিল। রাতের খাবার শেষে মা ঘরে ফিরে দেখেন—নিজের থাকার ঘরেই জিহাদ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে দ্রুত তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার রাতেই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির মৃত্যুর খবরে স্তব্ধ পরিবার। বিলাপ করতে করতে জিহাদের মা বলতে থাকেন, *“আমার জিহাদকে রেখে আমি কোথাও যাব না।”* স্বজনেরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুরো হাসপাতালজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দীপ্তি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজন আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। জিহাদ ছিল মেধাবী ছাত্র, গতকালও পরীক্ষা দিয়েছে। শিশুদের মানসিক জগৎ খুব স্পর্শকাতর—অভিভাবকদের আরও সতর্ক ও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে জানানো হয়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা সব পরিবারকে ছোট শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর