বরিশালে ভূমিকম্প পূর্ব ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমানো, উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা এবং উদ্ভুত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিন দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বুধবার বরিশালের জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্ধারিত সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের নিয়ে এ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
কর্মশালায় ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বরিশালের জেওসি মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন প্রধান অতিথি ছিলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে জনবহুল এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে উদ্ধারকারীদের অপেক্ষায় থাকা যাবে না। নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি বেসরকারি কোনো সংস্থারই এতটা সক্ষমতা নেই যে, তারা আশানুরূপ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
এরিয়া কমান্ডার আরও বলেন, যে সংস্থা রিকভারি করবেন তাদের জনবল এবং সরঞ্জামাদিসহ এমন সক্ষমতা আছে কি না সেটা ভেবে দেখা দরকার। এজন্য তাদের পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। বরিশালে নদী বেশি, সে কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নিজেদেরই সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর, বরিশাল সেনানিবাসের ২৮ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রুশনালুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বর অংশগ্রহণকৃত সব প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহণে বরিশাল জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামে এক সম্মিলিত মহড়া হবে। এ মহড়ায় ভূমিকম্প পূর্ব ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস, উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা এবং উদ্ভুত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ে আলোচনা ও মাঠ পর্যায়ে অর্জিত জ্ঞানের সম্মিলিত প্রয়োগ ও প্রদর্শন করা হবে।
প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকৃত ৩৭৫ মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদেরকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে দলভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর