বরিশালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অভিভাবকদের সহায়তায় পরীক্ষা গ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। আন্দোলনের কারণে বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয় বেলা ১১টায়।
এর আগে বুধবার সকালে বরিশাল নগরীর গির্জামহল্লা এলাকার ৮৮ নম্বর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেওয়ার বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তারা শিক্ষকদের অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে বিদ্যালয়ের সামনে ব্যস্ততম গির্জামহল্লা সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় চরম যানজট। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা বন্ধ থাকলে আগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু স্কুলে আসার পর কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া অন্যায় হয়েছে। অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে।
বিদ্যালয়টির আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকরা বলেন, কমপ্লিট শাটডাউন আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি। সারা দেশের ন্যায় বরিশালেও তারা এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।
ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বলেন, সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলন করায় পরীক্ষা শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আন্দোলনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। তাদের নির্দেশে এবং অভিভাবকদের সহায়তায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে একাই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছি।
শুধু ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নয়, বরিশালের বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর