এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজারে হোটেল সি প্যালেসে এই সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এসএমসি এবং এসএমসি ইএল-এর চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, এসএমসি এবং এসএমসি ইএল বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, পরিচালক ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ, এসএমসি বোর্ডের পরিচালক রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী, পরিচালক ডা. ইয়াসমিন হেমায়েত আহমেদ, এসএমসি ইএল বোর্ডের পরিচালক আফতাব উল ইসলাম এফসিএ, পরিচালক প্রকৌশলী মো. সিদ্দিক উল্লাহ এবং এসএমসি ও এসএমসি ইএল-এর ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকবৃন্দ।
অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল সেলস টিমের সাফল্যের স্বীকৃতি জানাতে এবং ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধির জন্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করতে। যাতে করে সামনে আরো টেকসই ও লাভজনক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়।
এসএমসি’র চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নই আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে এসএমসির মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন কার্যকর সেলস ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, যাতে পণ্য সহজেই সবার কাছে পৌঁছে যায়; উদ্ভাবনী পণ্য পোর্টফোলিও এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে গ্রহণ করার মানসিকতা, কারণ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অগ্রযাত্রায় পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী সত্য।’
এসএমসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তছলিম উদ্দিন খান বলেন, ‘রূপান্তরই ছিল এসএমসির ৫০ বছরের পথচলার মূল চালিকা শক্তি। পরিবার পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে আমরা সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বহু ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ করেছি, যাতে দেশের লাখো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা যায়। আমাদের বাণিজ্যিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (ইএল) এই মিশন পূরণে এসএমসিকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম করছে। এসএমসি ইএল-এর সেলস টিম আমাদের সকল উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অগ্রভাগে থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির বলেন, ‘টেকসইভাবে প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে হবে নিজেদের পরিবর্তন করে এমন একটি বাজারে প্রাসঙ্গিক থাকতে হবে, যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। আমরা নতুন পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই। গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক দামে ধারাবাহিক মানসম্পন্ন পণ্য দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করতে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনে অঙ্গীকারবদ্ধ। পাশাপাশি উচ্চ কর্মক্ষম সেলস টিম গড়ে তোলা এবং অপারেশনাল এক্সিলেন্স অর্জনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) ফিরোজ উল আলম বলেন, ‘আমাদের সেলস টিম সামনে থেকে বিক্রয় বাড়ালে, আমরা পেছন থেকে সেই সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করছি—উচ্চমানের পণ্য, দক্ষ উৎপাদন এবং সময়োপযোগী সাপ্লাই নিশ্চিত করে। রূপান্তরের এই যাত্রায় অপারেশনস ও ফ্যাক্টরি একসঙ্গে কাজ করছে যাতে দেশের মানুষ আরও উন্নত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পণ্য পেতে পারে।’
এসএমসি ইএল এর চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) আবুল বশির খান বলেন, ‘এই বছরের আর্থিক সাফল্য সেলস টিমের অবিচল পরিশ্রমের ফল। তাদের উদ্যোগে রাজস্বে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, সম্পদের কার্যকর ব্যবহারে উন্নতি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে।’
এসএমসি ইএল-এর জিএম (সেলস) এবং অনুষ্ঠানের কনভেনার সি এন মণ্ডল বলেন, ‘২০২৪-২০২৫-এ অর্জিত মাইলস্টোনগুলো আমাদের সেলস টিমের কঠোর পরিশ্রমের ফল। ভবিষ্যতে ২০২৫-২০২৬-এ আমরা আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে কাজ করব।’
উল্লেখ্য, গত ৫০ বছর ধরে এসএমসি বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে আনা এবং ডায়রিয়া মহামারি প্রতিরোধে অসামান্য অবদানের জন্য এসএমসি বিশ্বের অন্যতম সফল সোশ্যাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। এসএমসি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওরাল রিহাইড্রেশন স্যালাইন (ওআরএস) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
২০১৪ সালে বাণিজ্যিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ; এসএমসিকে আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে এবং তার সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলো ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসএমসি এন্টারপ্রাইজ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ করেছে এবং প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছে যেমন- রিহাইড্রেশনে এসএমসি ওরস্যালাইন, এসএমসি প্লাস, এসএমসি ফ্রুটি, কনডম-এ সেনসেশন এবং প্যানথার। এছাড়া গর্ভনিরোধক বড়িতে ফেমিকন, ফেমিপিল ও নোরিক্স ১, আর স্বাস্থ্য ও হাইজিন ক্যাটাগরিতে জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন, স্মাইল বেবি ডায়াপার এবং টেস্ট মি ইন্সট্যান্ট পাউডার ড্রিংক।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর