অর্থপাচার, চোরাচালান ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মোবাইল বিপণন প্রতিষ্ঠান ডেজেল মোবাইলের স্বত্বাধিকারী মো. দিদারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ পাওয়ার পর সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত বিভাগ গত ২৫ নভেম্বর উপপরিচালকের বরাবর প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের নির্দেশ পাঠায়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, দিদারুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আমদানি করে দেশে চোরা চালান ও শুল্ক ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। ‘লাগেজ পার্টি’ সুবিধা অপব্যবহার করে বিদেশে ডলার পাঠিয়ে দামি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন দেশে আনার প্রক্রিয়ায় জড়িত তার মালিকানাধীন ড্যাজেল মোবাইল শপ। এসব ফোন দেশে বিক্রি করে অর্জিত অর্থ হুন্ডি বা অন্যান্য অবৈধ চ্যানেলে বিদেশে পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কোম্পানিটি অবৈধ পথে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি করে ‘আনঅফিসিয়াল হ্যান্ডসেট’ হিসেবে বাজারজাত করছে। জনপ্রিয় ইউটিউবারদের দিয়ে এসব ফোনের রিভিউ করিয়ে বিক্রি বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্য সংরক্ষণ না করে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে সংশ্লিষ্ট চক্র। এতে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ঘাটতির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও চাপ তৈরি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগেজ পার্টি ব্যবস্থার এ ধরনের অপব্যবহার রোধে কাস্টমস ও শুল্ক কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর নজরদারি জোরদার করতে হবে। তারা সতর্ক করেন, এমন অনিয়ম চলতে থাকলে প্রযুক্তি খাতে সরকারের রাজস্ব আদায়ে ধস নামবে এবং বৈধ আমদানিকারকের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর