গাজা সিটিতে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এ হামলার উদ্দেশ্য হলো গাজায় বিদ্যমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে দুর্বল ও নস্যাৎ করা।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) গাজা সিটির একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে হামাসের একজন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। একই সঙ্গে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের টাইর জেলার ইয়ানুহ গ্রামে বসবাসকারীদের ‘আসন্ন হামলার’ বিষয়ে সতর্ক করেছে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের এ ধরনের হামলা চলমান যুদ্ধবিরতির পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, ইসরায়েল এখনো গাজায় মৌলিক আশ্রয় উপকরণ, জ্বালানি ও পানি অবকাঠামো প্রবেশে বাধা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ‘বায়রন’-এর পর গাজাবাসী সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধযোগ্য মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
গত কয়েক দিনে ঘূর্ণিঝড় বায়রন গাজা উপত্যকার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। প্রবল ঝড়, টানা বৃষ্টি ও ভেঙে পড়া অস্থায়ী স্থাপনার নিচে চাপা পড়ে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়। বাস্তুচ্যুত হাজারো পরিবার এর ফলে আরও ভয়াবহ সংকটে পড়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নেওয়া হয়।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর