• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১৬ সেকেন্ড পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিডি২৪লাইভ ডট কম
প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১৮ বিকাল

সংসদ নির্বাচন ও গনভোটের ব্যালট বাক্স হবে একটাই

ফাইল ফটো

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ব্যালট পেপারের আলাদা রঙের হলেও ব্যালট বক্স থাকবে একটা বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ভিন্ন রঙের ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটের ব্যালট গোলাপি রঙের হবে।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশন অনুমোদিত, নির্ধারিত এবং সরবরাহকৃত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সই গণভোটের ব্যালট বাক্স হিসাবে ব্যবহৃত হবে। ভোটারগণ ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদের ব্যালট ও গণভোটের ব্যালট একই বাক্সে ফেলবেন।

ভোট দেবেন যেভাবে

সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপারের সঙ্গে গণভোটের একটি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে এবং গণভোটের ব্যালট পেপারে হ্যাঁ বা না তে সিল দিয়ে ব্যালট পেপার ভাঁজ করে নির্ধারিত ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে।

পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে, ভোটার গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে হ্যাঁ বা না এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে হবে।

সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার সাদা আর গোলাপি ব্যালট পেপার থাকবে গণভোটের জন্য। সংসদ ও হ্যাঁ/না ভোট দিতে হবে সিল দিয়ে; তারপর একই বাক্সে ফেলতে হবে দুই ব্যালট।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।

এরপরই ‘গণভোটের প্রশ্ন, ভোটদানের সময়, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নির্ধারণ, ফলাফল প্রকাশ, ফলাফর একত্রীকরণ ও গেজেট প্রকাশ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

গণভোট এর বিষয়/প্রশ্ন

‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি ভোটাররা সম্মতি জ্ঞাপন করেন কি না (হ্যাঁ/না) সেই বিষয়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ গণভোট।

(ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

(খ) আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

(গ) সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল হতে ডেপুটি স্পীকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ তফসিলে বর্ণিত যে ৩০টি বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্য হয়েছে- সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য থাকবে।

(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

একই ভোটার, ভোটার তালিকা, একই কেন্দ্র

গণভোট অধ্যাদেশ জারি হলেও কোনো বিধিমালা করা হয় নি; এক্ষেত্রে ভোটদান থেকে ফলাফল প্রকাশ পযন্ত সব বিষয়াদি তুলে ধরা হয়েছে গণভোট সংক্রান্ত পরিপত্রে।

সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যাদের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে, তারাই গণভোটেরও দায়িত্ব পালন করবেন। একইভাবে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছেন তারাই থাকবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা একইসাথে একই সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

এবার ভোটার প্রায় পৌনে ১৩ কোটি; ব্যালট পেপার লাগবে দ্বিগুণ। ভোটার সংখ্যার সমান সংখ্যক ব্যালট পেপার সংসদ ও গণভোটের জন্য মুদ্রণ করা হবে।

‘ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রিজাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে/পোস্টাল ভোটের গণনা কেন্দ্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে নিয়োজিত এজেন্টদের উপস্থিতিতে (যদি থাকে) প্রত্যেকটি ব্যালট বাক্স খুলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ও গণভোটের ব্যালটগুলো আলাদা করবেন। এরপর সংসদ নির্বাচনের ব্যালটগুলো প্রার্থী ভিত্তিক এবং গণভোটের হ্যাঁ-সূচক ও না-সূচক ব্যালট পেপারগুলো আলাদা করে গণনা করা হবে।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি আরও নিষ্পত্তি ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি , প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তা দ্বারা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সকাল সাড়ে সাত টা থেকে বিকাল সাড়ে চার টা পর্যন্ত করা হবে।

কুশল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]