দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং ফার্মাসিস্টদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে ১০ম গ্রেড (২য় শ্রেণী) পদমর্যাদা বাস্তবায়নের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ডিসেম্বর) সকাল আটটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা সদর হাসপাতাল নেত্রকোনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএমটিএ) নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া সত্ত্বেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চরম পেশাগত অবহেলার শিকার। উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী এই পেশাজীবীরা দীর্ঘকাল ধরে ১১তম গ্রেডে অবস্থান করছেন, যা সমমানের অন্যান্য কারিগরি পেশার তুলনায় স্পষ্ট বৈষম্য।
বিবৃতিতে উত্থাপিত প্রধান দাবিসমূহ হলো:
গ্রেড বৈষম্য দূরীকরণ: নার্সিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের সমমানের ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড পেলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ক্ষেত্রে তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এই বৈষম্য দ্রুত দূর করতে হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়: আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও প্রশাসনিক আদেশ জারির আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিয়োগ জট নিরসন: দীর্ঘ বছর ধরে বন্ধ থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে শূন্যপদ পূরণ এবং জনবল সংকট দূর করার দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "দক্ষ রোগ নির্ণয় এবং সঠিক ওষুধ ব্যবস্থাপনা ছাড়া আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অসম্ভব। অথচ এই খাতের কারিগরদের মানবেতর জীবনযাপন ও পেশাগত অমর্যাদার মধ্যে রাখা হয়েছে। এই দাবি মেনে নেওয়া না হলে স্বাস্থ্যসেবার মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।"
পরিশেষে, বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং স্বাস্থ্যখাতের শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। নেত্রকোনা অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএমটিএ-র সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, সিনিয়র ফার্মাসিস্ট স্বপন কুমার পাল, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বিএমটিএ-র প্রচার সম্পাদক মির্জা মোশাররফ হোসেন।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর