বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল সবসময়ই ভ্রমনপিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয়। বিশেষ করে লকডাউনের পর থেকে স্থানীয় পর্যটনের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে সাজেক, বান্দরবান ও বগালেকের মতো নৈসর্গিক গন্তব্যগুলো দেশের প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক এই সময়েই দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,২৩৫ ফিট উঁচু দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সড়ক। তবে সেই একই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে- পাহাড়টি কুয়াশাছন্ন উঁচু-নিচু খাড়া পথ আর ঢালের সমন্বয়ে হওয়ায় সাধারণ গাড়ি বা মোটরবাইকের পক্ষে এ ধরণের পথ সামলানো প্রায় অসম্ভব।
আর তাই বেশিরভাগ পর্যটক বহুদিন ধরে নির্ভর করে আসছে চান্দের গাড়ির উপর। পাহাড়ি অঞ্চলের পরিচিত খোলা ছাদওয়ালা জীপ। তবে এসব গাড়ি যতটা ব্যবহারযোগ্য ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। পাহাড়ি সড়ককে ঘিরে অতীতের বেশ কিছু দুর্ঘটনা পর্যটকদের মনে ভয়ও তৈরি করেছে।
এমন এক সময়ে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে জ্যাক মোটোরস এর আধুনিক মডেল জ্যাক টি৯, যা নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটির একমাত্র অফিশিয়াল প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী র্যানকন গ্লোবাল ট্রাকস লিমিটেড। সম্প্রতি দুইটি জ্যাক টি৯ নিয়ে জ্যাক মোটোরস টিম এবং ট্রাভেল ইনফ্লুয়েন্সার ‘দ্য আউটসাইডার’ ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কেওক্রাডং জয় করে এবং নিরাপদে ফিরে আসে। পুরো যাত্রায় ভিডিওতে দেখা গেছে গাড়িটি কীভাবে অতিরিক্ত খাড়া চূড়ার মতো দুর্গম আর উচু-নিচু বাঁক অনায়াসে পার করছে।
প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী জ্যাক টি৯-তে রয়েছে ২.০ লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন যা দেয় ১৬৮ হর্স পাওয়ার এবং ৪১০ নিউটন-মিটার টর্ক(এনএম)। এর শক্তিশালী ফোর-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম দুর্গম ও উচু-নিচু পথে অতিরিক্ত গ্রিপ নিশ্চিত করে। পাশাপাশি এটি ১০০০ কেজির বেশি ওজন বহন করতে সক্ষম। গাড়িটির ইন্টেরিয়রও বেশ সুন্দর ও আরামদায়ক। এতে রয়েছে চমৎকার লেদার সিট, ১০.৪ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সানরুফ, ওয়্যারলেস চারজিংসহ আধুনিক সব সুবিধা। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে এবিএস, ইবিডি এবং ইএসপি যা ড্রাইভকে করবে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ। দেশের অটোমোবাইল বাজারে সাশ্রয়ী দামে নতুন চমক নিয়ে এলো জ্যাক টি৯। ক্রেতারা এখন মাত্র ৪৬.৫ লাখ টাকায় অত্যাধুনিক সব ফিচারসহ ব্র্যান্ড নিউ গাড়িটি কিনতে পারবেন।
সফল অভিযানের পর র্যানকন গ্লোবাল ট্রাকস লিমিটেড’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জনাব শন হাকিম বলেন, “র্যানকনে আমরা বিশ্বমানের গাড়ি বাংলাদেশে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জ্যাক টি৯ কেওক্রাডং জয় করে দেখিয়েছে এটি আরও কঠিন পথও আত্মবিশ্বাসের সাথে অতিক্রম করতে সক্ষম।”
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জ্যাক টি৯-এর এ সাফল্য প্রমাণ করে শক্তিশালী ও সক্ষম গাড়ি থাকলে বাংলাদেশের দুর্গম পাহাড়ি গন্তব্যগুলো এখন আর শুধু প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নয় বরং পরিবার ও সাধারণ পর্যটকরাও সহজে ও নিরাপদে এসব জায়গায় যেতে পারবেন। অনেকে বিশ্বাস করে এই উদ্যোগটি স্থানীয় পর্যটনকে আরও এগিয়ে নেবে এবং পাহাড়ি সড়কে নিরাপত্তার নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে।
সম্প্রতি ব্র্যান্ডটি তেজগাঁওয়ে তাদের প্রধান জ্যাক শোরুম উদ্বোধন করেছে, যেখানে গাড়ি বুকিং এবং টেস্ট ড্রাইভের সুবিধাসমূহ পাওয়া যাচ্ছে।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর