ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহল এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদির মৃত্যুর খবর শুনে তার আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসেন বাসায়।
এ সময় হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা।
এদিকে, হাদির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জুলাই বিপ্লবের পরে হাদির মতো একজন বীরযোদ্ধাকে কেন নিরাপত্তা দেয়া হলো না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
ওসমান হাদির বাসায় বর্তমানে তার বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন আছেন।
এদিকে, শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর শুনে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কলেজ মোড়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।
ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে এসে বিক্ষোভ করে।
এ সময় বক্তব্য প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, ফিনল্যান্ড শাখার আহ্বায়ক আহাদ হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা সদস্য সচিব রাইয়ান বিন কামাল। তারা দ্রুত ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবি করেন। রাত ২টা ৪৭ মিনিটে অবরোধ ভাঙে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদ গা ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির কলেজ মোড় এলাকাকে শহীদ সৈয়দ ওসমান বিন হাদি চত্বর ঘোষণা করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ সরকারে কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর