ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির একটি ভিডিও শেয়ার করে প্র থম আলো ও ডেই লি স্টারের সামনে সংঘটিত অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান লেখেন, এই যে প্র থম আলোর সামনে যারা দাঁড়িয়েছে, আমরা কি তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি? আমরা বলি না। আপনি পারলে প্র থম আলোর বিকল্প আরও ১০টা প্র থম আলো তৈরি করেন। তার অফিসের সামনে আপনার কাজটা কী?—মব ও সহিংসতার বিষয়ে এভাবেই প্রতিবাদ করেছিলেন ওসমান হাদি ভাই।
রাশেদ খান বলেন, ওসমান হাদির বক্তব্যটি মাত্রই তার সামনে এসেছে। এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন—ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদের পর যারা প্র থম আলোর অফিসে আগুন দিয়েছে, তারা কি আগে থেকেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল না?

তিনি আরও বলেন, ওই ভবনে অসংখ্য সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। আগুন লাগার সময় তারা চিৎকার করেছে, বাঁচার আকুতি জানিয়েছে। যদি তারা আগুনে পুড়ে মারা যেত, তাহলে তার দায় কে নিত?
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ডেই লি স্টার ও প্র থম আলোর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে। ক্ষুব্ধ হলে আইন ও আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এভাবে পত্রিকা অফিস পুড়িয়ে দেওয়া দেশের জন্য কখনোই ভালো নয়।
তিনি একই সঙ্গে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর হামলার ঘটনাও উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাশেদ খান বলেন, ওসমান হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার এবং দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে। তবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পথ অনুসরণ করলে দেশে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
উল্লেখ্য যে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কারওয়ান বাজারে ইংরেজি দৈনিক ডেই লি স্টার ও দৈনিক প্র থম আলোর কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর