বোরো ধানের বীজতলায় পানি সেচকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের ইছলবাড়িয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম (৪৫) ওই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ইছলবাড়িয়া গ্রামের আমিন খাঁনের ছেলে মালেক (৩২) এবং মৃত ফজলুর খাঁনের ছেলে শাহাদত আলী (৩০) বাড়ির পাশে একটি ডোবা-পুকুর থেকে বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে বোরো ধানের বীজতলায় পানি সেচ দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় পুকুরের মালিক আব্দুস সালাম এতে বাধা দিলে দু'পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে মালেক ও শাহাদত আলীর নেতৃত্বে প্রায় ৫ থেকে ৭ জনের একটি দল আব্দুস সালামের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। হামলার সময় বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুস সালামের স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০) জানান, হামলাকারীরা ঘরে থাকা চেয়ার, টেবিল, শোকেস, ফ্রিজ ও এলইডি টিভি ভাঙচুর করে। পাশাপাশি তাঁর প্রবাসী ছেলের পাঠানো নগদ ৫ লাখ টাকা এবং প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে তাঁদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহাদত আলীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (২৮) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাড়িতে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঝগড়া-বিবাদ যা হয়েছিল তা রাস্তার ওপরেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে গ্রামের প্রধান ব্যক্তিরা এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম. আব্দুর নূর বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর