নেত্রকোনা সদর উপজেলার নারিয়াপাড়া গ্রামে নিজ ঘরের বিছানা থেকে হেলাল উদ্দিন (৫৮) নামের এক ব্যক্তির হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে নিহতের নিজ ঘর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী বেদেনা আক্তারকে (৪০) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত হেলাল উদ্দিন নারিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশরাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার নারিয়াপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন প্রায় ২০ বছর আগে একই উপজেলার সমিয়া দুধকুড়া গ্রামের বেদেনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে শরিফ উদ্দিন নানাবাড়িতে থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
গত শনিবার রাত খাবার খেয়ে হেলাল উদ্দিন নিজ ঘরে শুয়ে পড়েন। ঘরটির একটি বিছানায় তিনি একা ছিলেন। অন্য বিছানায় স্ত্রী বেদেনা আক্তার মেয়েকে নিয়ে ঘুমান। বেদেনা প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হন। পরে ঘরে ফিরে স্বামী হেলাল উদ্দিনের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বেদেনা আক্তারের দাবি, ভোররাতে আনুমানিক সোয়া চারটার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যান। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান। আর কিছু বলতে পারছিলেন না।
নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই জালাল উদ্দিন বলেন, "কে বা কারা, কী কারণে আমার ভাইকে হত্যা করেছে, জানি না। আমরা ৯ ভাই ছিলাম। গত শুক্রবার রাতে বড় ভাই তাজউদ্দিন স্বাভাবিকভাবে মারা যান। এখন আরেক ভাই হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করা হলো। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে আমাদের জানা নাই।"
নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার বলেন, "হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী বেদেনা আক্তারকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।"
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর